শীর্ষ আদালতের দ্রুত ইন্টারনেট চালুর নির্দেশের পর খুশির জোয়ার জম্মু-কাশ্মীরে
শীর্ষ আদালতের দ্রুত ইন্টারনেট চালুর নির্দেশের পর খুশির জোয়ার জম্মু-কাশ্মীরে
শুক্রবার
জম্মু
কাশ্মীর
প্রসঙ্গে
একটি
বিশেষ
রায়দানের
সময়
উপত্যকার
সমস্ত
জরুরি
পরিষেবায়
অবিলম্বে
ইন্টারনেট
চালুর
নির্দেশ
দিয়েছে
ভারতের
সর্বোচ্চ
আদালত।
দীর্ঘ
দিন
ধরে
জম্মু
-কাশ্মীরে
বন্ধ
থাকা
ইন্টারনেট
চালু
করার
দাবিতে
দাখিল
হওয়া
পিটিশনের
উত্তরে
সুপ্রিম
কোর্ট
জানিয়েছে,
ইন্টারনেট
মানুষের
মৌলিক
অধিকার,
অনির্দিষ্টকালীন
ইন্টারনেট
বন্ধ
থাকা
কোনও
কাজের
কথা
নয়।
কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ করার পরই জরুরি অবস্থা জারি করা হয় সমগ্র অঞ্চল জুড়ে। কাশ্মীরে বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। অবশেষে প্রায় ১৫৮ দিন কাশ্মীরে ফের চালু হতে চলেছে ইন্টারনেট পরিষেবা। এর জেরে স্বভাবতই খুশি উপত্যকার লোকজন। সুপ্রিম কোর্টের এই 'খুশির খবরের’ পর এখন আনন্দে মাতোয়ারা কাশ্মীরের বাসিন্দারা।
ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পর একাধিক প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহল থেকে। কাশ্মীরে ইন্টারনেট বন্ধের পর এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করতে দেখা যায় কংগ্রেসে নেতা গুলাম নবী আজাদকে। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে তিনি 'ঐতিহাসিক’ বলে অখ্যায়িত করেছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “এই প্রথম সুপ্রিম কোর্ট জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের মনের অনুভূতি নিয়ে কথা বলেছে। আমি এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের জন্য সুপ্রিম কোর্টকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। সারা দেশের মানুষ এই রায়ের জন্য অপেক্ষা করছিল, বিশেষত জম্মু-কাশ্মীরের জনগণ। "
এদিন বিচারপতি এন ভি রমনার নেতৃত্বে এবং বিচারপতি বি আর গাভাই ও আর সুভাষ রেড্ডির সমন্বয়ে গঠিত এই তিন বিচারপতির বেঞ্চ, জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনকে অবিলম্বে হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলিতে অবিলম্বে ইন্টারনেট পরিষেবা স্বাভাবিক করার নির্দেশ দেন। যদিও শীর্ষ আদালতের নির্দেশে এই ক্ষেত্র গুলির পাশাপাশি অন্যান্য ক্ষেত্রে গুলিতে ইন্টারনেট পরিষেবা সচল করার ক্ষেত্রে কোনও সময়সীমার উল্লেখ নেই বলে জানা যাচ্ছে।