নভেম্বরেই রেকর্ড তুষারপাত জম্মু–কাশ্মীরে, ক্ষতি আপেল বাগানের
নভেম্বরেই রেকর্ড তুষারপাত জম্মু–কাশ্মীরে, ক্ষতি আপেল বাগানের
এখনও ঠিকমতো শীত এসে পৌঁছায়নি, অথচ শুভ্র তুষারে মুড়ে গিয়েছে গোটা জম্মু–কাশ্মীর। এবারে উপত্যকায় কনকনে শীতের সাক্ষী থাকতে চলেছে কাশ্মীরবাসী। জানা গিয়েছে, নভেম্বরেই কাশ্মীরে ভারী তুষারপাত হয়েছে। যা গত ছয় দশকে কোনওদিনও হয়নি। কাশ্মীরের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, নভেম্বরে উপত্যকায় যে পরিমাণ তুষারপাত হয়েছে যা সব রেকর্ডকে ভেঙে দিয়েছে। শ্রীনগর এবং তার আশেপাশের এলাকায় গত ৭ নভেম্বর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৭৬.৮ মিলিমিটারস তুষারপাত হয়েছে। যা ১৯৫৯ সালের রেকর্ডকে ভেঙে দিয়েছে। ওই বছর উপত্যকায় ৬৪.৩ মিলিমিটারস তু্যারপাত হয়েছিল।
গত বছরের রেকর্ড ভাঙল কাশ্মীর
আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, গত বছর ১১৬.৭ মিলিমিটারস তুষারপাত হয়েছিল নভেম্বরে। কিন্তু এ বছর নভেম্বরে ১৩১.৮ মিলিমিটারস তুষারপাত হয়েছে। কাশ্মীরে এ বছর ২০০ শতাংশ বেশি তুষারপাত ও বৃষ্টিপাত হয়েছে ফেব্রুয়ারিতে, যা গত বছরের তুলনায় অনেকটা বেশি।
আপেল বাগানের ক্ষতি
তুষারপাতের ফলে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের আপেন বাগানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উদ্যানপালন বিভাগের প্রাথমিক অনুমান, তুষারপাতের ফলে উপত্যকায় ২,২৫০ কোটি টাকার ফলের ক্ষতি হয়েছে। কাশ্মীরের আপেল উৎপাদকরা জানিয়েছেন যে ৭ নভেম্বরের ভারী তুষারপাতের ফলে ৯০ শতাংশ আপেল বাগানের ক্ষতি হয়েছে।
কেন্দ্রশাসিত এলাকায় এসে গিয়েছে শীত
জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ এই দুই কেন্দ্রশাসিত এলাকায় রবিবার রাতের তাপমাত্রা অনেকটাই নীচে ছিল। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে যে, রবিবার লে শহরে ছিল সবচেয়ে ঠান্ডার রাত। এদিন মাইনাস ১৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। জম্মুর কাতরাতে রবিবার তাপমাত্রা ছিল ৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে। বৈষ্ণদেবী মন্দিরে যাওয়ার এটাই বেস ক্যাম্প।