সেনা জওয়ানের পর এবার পুলিশকর্মী! জম্মু ও কাশ্মীরে ফের অপহরণ করে খুন
জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ কনস্টেবলকে অপহরণ করে হত্যার অভিযোগ। শুক্রবার সকালে সোপিয়ানের দামগামে ওই কনস্টেবলের বুলেট বিদ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ কনস্টেবলকে অপহরণ করে হত্যার অভিযোগ। শুক্রবার সকালে সোপিয়ানের দামগামে ওই কনস্টেবলের বুলেট বিদ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কনস্টেবলের নাম জাভেদ আহমেদ দার। বৃহস্পতিবার স্থানীয় একটি ওষুধের দোকান থেকে এই অপরহণের ঘটনা ঘটে।
জানা গিয়েছে, বাড়িতে ঢুকে কনস্টেবল জাভেদ আহমেদ দারকে অপহরণ করেছিল জঙ্গিরা। সোপিয়ানের কাছদুরায় এই অপহরণের ঘটনা ঘটে। এবছরের এপ্রিলে এই গ্রামেই নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৫ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছিল। অপহরণের পরেই নিরাপত্তা বাহিনীর ওই কনস্টেবলের সন্ধানে এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে।
ইদের সময় জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি বিরোধী তল্লাশি অভিযান বন্ধ রাখা হয়েছিল। সেই সময় রাজ্যে জঙ্গি কার্যকলাপ এবং অপরাধের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় বলে নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রে খবর।
একমাসেরও কম সময়ে ফের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য অপহরণের ঘটনা জম্মু ও কাশ্মীরে। এর আগে ১৪ জুন বাসে সোপিয়ানে যাওয়ার সময় সেনা জওয়ান ঔরঙ্গজেবকে অপহরণ করেছিল জঙ্গিরা। পরে পুলওয়ামায় তাঁর গুলিবিদ্ধ দেহ মেলে। নির্দিষ্ট জায়গা থেকে জঙ্গিরা বাসটিকে অনুসরণ করেছিল। আর অপর এক নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে সেনা জওয়ান ঔরঙ্গজেবকে বাস থেকে নামিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
অপহরণের খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল নিরাপত্তা বাহিনী। ঘন্টা খানেকের তল্লাশি অভিযান চলার পর পুলওয়ামার কালামপোরার গুসু গ্রাম থেকে ঔরঙ্গজেবের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। জানা গিয়েছিল দুই লস্কর ও দুই হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি সেনা জওয়ান ঔরঙ্গজেবের অপহরণের সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে জানা গিয়েছিল। আরও জানা গিয়েছিল অপহরণে জঙ্গিরা একটি অল্টো গাড়ি ব্যবহার করেছিল। আর চার জঙ্গির মধ্যে জাহর আহমেদ তোহার ২০১৭-তে হিজবুল জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেওয়ার আগে টেরিটোরিয়াল আর্মিতে ছিল।
তবে দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলির মত, পাকিস্তানের আইএসআই সেনা জওয়ানের হত্যার ঘটনার পিছনে রয়েছে।