কিশোরীকে আত্মঘাতী জঙ্গি বানিয়ে মহাভুল পুনে এটিএস-এর
শ্রীনগরের জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের সদর দফতর থেকে বার্তার জেরে ২৩ জানুয়ারি পুনেয় আটক করা হয় এক কিশোরীকে। আত্মঘাতী বাহিনীর সদস্য হিসেবে তাকে আটক করা হয়। প্রমাণ না পাওয়ায় কিশোরীকে ছেড়ে দেওয়ার সম্ভাবনা।
শ্রীনগরের জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের সদর দফতর থেকে বার্তার জেরে ২৩ জানুয়ারি পুনেয় আটক করা হয় এক কিশোরীকে। আত্মঘাতী বাহিনীর সদস্য হিসেবে তাকে আটক করা হয়। যদিও প্রমাণ না পাওয়ায় কিশোরীকে ছেড়ে দেওয়ার পথে পুলিশ।
গত বেশ কয়েক বছর ধরেই দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর নজরে রয়েছে এই কিশোরী। ২০১৫-তে ইন্টারনেটে সন্দেহজনক কাজকর্মের অভিযোগে মহারাষ্ট্রের এটিএস তাকে আটক করেছিল। ইসলামিক স্টেট-এর জন্য ব্যবহৃত বন্ধ চ্যাটরুম থেকে তাকে ধরা হয় বলে দাবি করেছিল এটিএস। তার বয়স নিয়েও তখন সন্দেহ ছিল। আদৌ সে কিশোরী নাকি প্রাপ্ত বয়স্ক, তা নিয়ে বিতর্কও হয়েছিল।
সম্প্রতি খবরের শিরোনামে সেই কিশোরী। জম্মু ও কাশ্মীরের সব পুলিশ সুপারকে কড়া নজরদারির মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিশোরীকে ট্র্যাক করতে দুদিন সময় নেন গোয়েন্দা বিভাগ।
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের এডিজি মুনির খান জানিয়েছেন, কাশ্মীর থেকে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে প্রশ্ন করা হচ্ছে। রাজ্য পুলিশ পুরো তথ্যের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
যদিও পরে দেখা যায়, বিষয়টি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ভুল বোঝাবুঝির ফল। জানা গিয়েছে, ওই কিশোরী সোশ্যাল মিডিয়ায় তার বন্ধুকে মজা করে লেখে সে আত্মঘাতী হামলা করতে যাচ্ছে। কোনও মামলা না হওয়ায় পুলিশ কিশোরীকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেবে বলেই জানা গিয়েছে।
ওই কিশোরী গত দুবছর ধরে জম্মু-কাশ্মীরে যাওয়ার চেষ্টা করছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ২০১৭-তে জম্মু ডিভিশনের কিছু মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয় কিশোরীর। তাকে রেলস্টেশনেই আটক করে পুনেয় ফিরে যেতে বলা হয়।
সূত্রের মাধ্যমে পাওয়া খবর অনুযায়ী, কুপওয়ারার এক যুবকের সঙ্গে কিশোরীর পরিচয় হয়েছিল। বদগাঁও-এর এক মহিলার সঙ্গেও পরিচয় হয় কিশোরীর। তখনই কিশোরী তার কাশ্মীর সফরের কথা জানায়। জানুয়ারির ১৯ কিংবা ২০-তে সে শ্রীনগর যায়। পরিচিত মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ করে। এই সময়ই খবর পায় গোয়েন্দা বাহিনী।