১ বছরে নতুন চেহারায় ভূস্বর্গ! রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর আবহেই ৩৭০ ধারা বাতিলের বর্ষপূর্তি
গত বছরেই নিষ্পত্তি হয়েছে বহু বিতর্কিত অযোধ্যা মামলার। আর তারপরেই চলতি বছরের ৫ই অগাস্ট মহাসমারোহে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যদিও এই দিনটির অন্যএকটি বিশেষ গুরুত্বও রয়েছে। গত বছর এই দিনেই জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা খর্ব করে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপ করেছিল মোদী সরকার।

কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয় ভূস্বর্গ
কেন্দ্রের ওই সিদ্ধান্তের জেরেই বিশেষ রাজ্যের তকমা হারিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয়েছিল ভূস্বর্গ। তৈরি হয়েছিল জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ নামে দুটি পৃথক কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের। এদিকে গত শতাব্দী থেকেই জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। জন সংঘের আমলেও এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে দেখা যায় শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীকেও। যিনি পরবর্তীকালে কাশ্মীরের জেলেই মারা যান।

স্বাধীনতা পরবর্তী ৭০ পছরের ইতিহাসে যবনিকা পতন
এদিকে গত বছরই যবনিকা পরে স্বাধীনতা পরবর্তী ৭০ পছরের ইতিহাসে। জম্মু-কাশ্মীরের পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নিয়ে ওইদিন সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেন, এখন থেকে রাজ্যটি দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে পরিগণিত হবে। এদিকে ৩৭০ ধারা বিলোপের পরই ভারত-পাক সম্পর্কের ফাটল আরও চওড়া হয়। পাশাপাশি কেন্দ্র সরকার উপত্যকার মানুষের কথা না শুনে জোর করে তাদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছে বলে বিজেপির কড়া সমালোচনা করে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা মন্ত্রীরা।

চরমে ওঠে রাজনৈতিক অস্থিরতা
পরবর্তীতে ৩৭০ ধারা বাতিলের আবহে কাশ্মীরে নতুন করে অশান্তি ছড়ানো রুখতে জম্মু ও কাশ্মীরের একাধিক রাজনৈতিক নেতাদের আটক ও গৃহবন্দি করা হয়। জন নিরাপত্তা আইনের বলে এখনও বন্দি দশা কাটাচ্ছেন জম্মুকাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিও। পরবর্তীতে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা খর্ব করার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক পিটিশন জমা পড়ে বলে শোনা যায়।

কি ছিল কেন্দ্রে যুক্তি ?
এদিকে কেন্দ্রের যুক্তি অনুযায়ী উপত্যকায় দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও বিচ্ছিন্নতাবাদ দমনের উদ্দেশ্যে ও স্থানীয়দের আরও বেশি করে জনকল্যাণমূলক প্রকল্পে সামিল করতেই ৩৭০ ধারা বাতিল করা হয়। এদিকে ৩৭০ ধারা নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীর গণপরিষদের সদস্যদের মধ্যেও এবিষয়ে চূড়ান্ত মতভেদ ছিল। গণপরিষদের সদস্যরা সুস্পষ্ট কোনও ধারনাই দিয়ে যেতে পারেননি। আবার ৩৭০ ধারাকে চিরস্থায়ী করতেও বলা হয়নি।

শাঁখ বাজিয়ে রামের আবাহন, অযোধ্যায় মন্দির নির্মাণের শিলান্যাসে কী বার্তা দিলেন মুকুল রায়