জম্মু ও কাশ্মীরে একজোট বিরোধীরা! বিধানসভা ভেঙে দিলেন রাজ্যপাল
জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা ভেঙে দিলেন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। সেখানে সরকার গঠনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন, পিডিপির মেহবুবা মুফতি। সঙ্গে যুক্ত করেছিলেন ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং কংগ্রেসকেও।
জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা ভেঙে দিলেন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। সেখানে সরকার গঠনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন, পিডিপির মেহবুবা মুফতি। সঙ্গে যুক্ত করেছিলেন ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং কংগ্রেসকেও। রাজনৈতিক মহলের একাংশের অনুমান জোট তৈরি হলে রাজ্যে অনিশ্চয়তা বাড়তে পারে। সেইজন্য বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন রাজ্যপাল। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে পিডিপি। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখাও করেছেন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি।
জম্মু ও কাশ্মীরে পরিস্থিতি নাটকীয় মোড় নেয়, যখন বিজেপি সমর্থন প্রত্যাহার করে নেওয়ার জুন মাসে পদত্যাগে বাধ্য হওয়া মুখ্যমন্ত্রী তথা পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি জম্মু ও কাশ্মীরের পিপলস কনফারেন্স নেতা সাজ্জাদ লোনের সঙ্গে সরকার গটন নিয়ে আলোচনা প্রকাশ্যে আসায়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, রাজ্যপাল জানান, তাঁর কাছে কোনও পক্ষই সংখ্যা নিয়ে কোনও রকমের প্রমাণ নেই। সেই পরিস্থিতিতে বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি বিধানসভা ভাঙার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
রাজ্যে পিডিপি, এনসি এবং কংগ্রেস একসঙ্গে এলে ভূতত্ত্বগতভাবে এবং ধর্মীয়ভাবে রাজ্যে বিভাজন তৈরি হতে পারে। সেই পরিস্থিতি তৈরি যাতে না হয় সেই জন্যই বিধানসভা ভেঙে দেওয়া হল মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব রাজীব গওবা সকাল থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছিলেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিকেলে মধ্যপ্রদেশে ভোটপ্রচার সেরে ফেরার পরেই রাজনাথ সিং পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। রাত আট-সাড়ে আটটা নাগাদ পরিষ্কার হয়ে যায় বিধানসভা ভেঙে দেওয়া ছাড়া রাজ্যপালের কাছে আর কোনও উপায় নেই।
রাজনৈতিকদলগুলির সঙ্গে বেশ কয়েকদফা বৈঠকের পর মেহবুবা মুফতি বুধবার বিকেলে রাজ্যপালের কাছে চিঠি পাঠান, সরকার গঠনের দাবি করে। চিঠিতে তিনি জানান, তাঁর দাবিতে সমর্থন করেছে কংগ্রেস ও এনসি।