পাকিস্তান থেকে আসা মদতে অনেকটা ঘাটতি, আর্থিক সঙ্কটে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা
ফুরিয়ে আসছে রসদ। হাতটান পড়েছে পাকিস্তানের মদতেও। চরম সঙ্কটে কাশ্মীরের জঙ্গিরা। তার উপর বাড়ছে দলাদলি।
ফুরিয়ে আসছে রসদ। হাতটান পড়েছে পাকিস্তানের মদতেও। চরম সঙ্কটে কাশ্মীরের জঙ্গিরা। তার ওপর বাড়ছে দলাদলি। কয়েকদিন আগেই দুই জঙ্গি গোষ্ঠীর লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে এক জঙ্গির। আহত অপর এক জঙ্গিকে উদ্ধার করে ত্রাতার ভূমিকায় আসা ভারতীয় সেনা বাহিনী। গোয়েন্দারা বলছেন, গত কয়েকমাসে পাকিস্তানের মদতে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ফলে অনেকটাই ছন্নছাড়া উপত্যকার জঙ্গিরা। লস্কর, তার জৈশ দুই সংগঠনেই ভাঙন দেখা দিয়েছে। পাকিস্তানের কাছ থেকেও টাকা আসছে না। তার উপর বিচ্ছিন্নতাবাদীরাও সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাইছে।
কেন্দ্রের রিপোর্ট
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রকাশিত রিপোর্টে জানা গিয়েছে, জঙ্গি কার্যকলাপ চালাতে যে বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হয় তা জোগার করতে উপত্যকার এক শ্রেণির বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন অনুদান সংগ্রহ করছে। নানা সামাজিক কাজের নাম করে সাধারণ মানুষ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করছে তারা। কিন্তু জঙ্গি কার্যকলাপ চালানোর জন্য তা যথেষ্ট নয়।
হুরিয়ত নেতারা দায়িত্বে
গোয়েন্দারা জানিয়েছেন কয়েকজন হুরিয়ত নেতা এই ফান্ড সংগ্রহে ভীষণভাবে সক্রিয়। রমজান মাসে তাঁরা সমাজসেবার নামে টাকা সংগ্রহ করেছে। বিশেষ করে শ্রীনগরে তাঁদের অর্থ সংগ্রহ করতে দেখা গিয়েছে। যাতে কারোর সন্দেহ না হয় সেকারণে মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে অর্থসংগ্রহ করেছেন এই হুরিয়ত নেতারা।
ভাঁড়ারে টান
সূত্রের খবর পাকিস্তান থেকে অর্থ আমদানি রুখতে এনআইএ, ইডি এবং আয়কর যৌথ ভাবে উপত্যকার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু করার পরেই ভাঁড়ারে টান পড়েছে জঙ্গিদের।
হাওয়ালার টাকায় টান
২০১৮ সালের একাধিক হাওলা কেলেঙ্কারির তদন্ত উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য, এই হাওয়ালার টাকাই কাশ্মীরে পাথর ছোড়া এবং বাহিনীর বিরুদ্ধে প্ররোচনা দেওয়ার কাজে ব্যবহার করত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। এক কথায় তদন্তকারীরা দাবি করেছেন উপত্যকার যুবাদের হাতে টাকা দিয়ে বাহিনীকে পাথর ছুড়ে আক্রমণ করার কাজে ব্যবহার করা হত।