সেনার ভুল শোধরানোর বার্তা, মৃতদের পরিবারেরর সঙ্গে সাক্ষাৎ কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নরের
১৮ জুলাই শোপিয়ানে তিন জঙ্গিকে খতম করার খবর প্রকাশিত হয়। নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছিল ইমতিয়াজ আহমেদ, ইব্রাহিম আহমেদ এবং ইবরার আহমেদ। অভিযোগ, ভুয়ো সংঘর্ষে তাদের মৃত্যু হয়েছে। সেনার তরফে এই ঘটনার তদন্ত চলছে। নিজেদের ভুল মেনে নিয়ে দোষী জওয়ানদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার কথা জানায় সেনা কর্তৃপক্ষ।
'টাইম-বোমা'র কাউন্টডাউন শুরু, FATF-এর মার্কসের উপর নির্ভর করছে ইমরানের ভবিষ্যৎ
৪ কিলোমিটার হেঁটে রাজৌরির তারকাসি গ্রামে যান
সেনার এই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করতেই জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা ৪ কিলোমিটার হেঁটে রাজৌরির তারকাসি গ্রামে যান। সেখানে মৃত ৩ যুবকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তাঁদের সবরকম সরকারি সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। এর আগে সেনার পক্ষ থেকে এই বিষয়ে বলা হয়েছিল, জম্মু-কাশ্মীরের শোপিয়ানের সংঘর্ষে আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার্স অ্যাক্ট (আফস্পা) লঙ্ঘন করেছেন জওয়ানরা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বার্তা
এদিন লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা প্রায় ছয় ঘণ্টার যাত্রা শেষে প্রত্যন্ত ওই এলাকায় পৌঁছান। তারপর পাহাড়ি রাস্তায় প্রায় ৪ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে মৃত যুবকদের গ্রামে পৌঁছান। তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। কথা বলেন। সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি সুবিচার ও সবরকম সরকারি সহযোগিতার আশ্বাস দেন। সেইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বার্তা পরিবারের কাছে পৌঁছে দেন।
মৃতদের পরিবারের বক্তব্য শোনেব মনোজ সিনহা
সরকারি এক আধিকারিক জানান, রাজৌরিতে প্রথমে একটি জনসভায় যোগ দেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর। পরে সেখান থেকে তারকাসি গ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন। হেঁটে মৃতদের একজনের বাবা মহম্মদ ইউসুফের সঙ্গে দেখা করেন। মহম্মদ ইউসুফের বাড়িতেই উপস্থিত ছিলেন আরও দুই মৃত যুবকের পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের বক্তব্যও শোনেন তিনি।
লেফটেন্যান্ট গভর্নর তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন
এক সরকারি আধিকারিক এদিনের বিষয়ে বলেন, 'মৃতদের পরিবারের সদস্যরা ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই ন্যায়-বিচার ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়ে এসেছেন। লেফটেন্যান্ট গভর্নর তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন। পরামর্শ দিয়েছেন তদন্ত শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার।'
ডিএনএ নমুনা ম্যাচ করানোর জন্য পরীক্ষা
চলতি মাসের শুরুতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ডিএনএ নমুনা ম্যাচ করানোর জন্য ওই যুবকদের মৃতদেহ কবর খুঁড়ে বের করা হয়। পরে অক্টোবরের ২ তারিখ ফের কবর দেওয়া হয়। এনকাউন্টার নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় তা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওযা হয়েছিল। সেখানেই প্রাথমিকভাবে দেখা যায় যে আফস্পা-র লঙ্ঘন হয়েছে। আর এরপরই নড়চড়ে বসে সেনা কর্তৃপক্ষ।