সীমান্তে গোলাগুলি চালানোর ফাঁকে জঙ্গি ঢোকানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান, ফের জানিয়ে দিল বিএসএফ
সীমান্ত পেরিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশের জন্যই ফের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করতে দেখা গেল পাকিস্তানকে। এই প্রসঙ্গে সীমান্ত প্রতিরক্ষা বাহিনী বা বিএসএফের উচ্চপদস্থ আধিকারিক আজমল সিং বলেন, “
সীমান্ত পেরিয়ে জঙ্গি অনুপ্রবেশের জন্যই ফের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করতে দেখা গেল পাকিস্তানকে। এই প্রসঙ্গে সীমান্ত প্রতিরক্ষা বাহিনী বা বিএসএফের উচ্চপদস্থ আধিকারিক আজমল সিং বলেন, " সীমান্তে যখনই অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটে, তখনই পাকিস্তান সেনার পক্ষ থেকে গুলি চালানো হয়। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের উদ্দেশ্য হল ভারতীয় সেনাকে ব্যস্ত রেখে অনুপ্রবেশ সহজতর করা। কিন্তু যে কোনোরকম অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সদা সতর্ক ভারতীয় সেনা "
“৩৭০ ধারা বিলোপের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের কোনও সম্পর্ক নেই”
অন্যদিকে ভারতীয় সেনার ওই আধিকারিকের আরও দাবি ৫ আগস্ট জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা হ্রাস সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপের সঙ্গে পাকিস্তান সেনার লাগাতার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের কোনও সম্পর্ক নেই। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, "সীমান্তের পরিস্থিতি ঠিক আছে এবং পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের সাথে ৩৭০ ধারা বাতিলের কোনও সম্পর্ক নেই। এটি এখানে বহু বছর ধরে চলছে। "
নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর লঞ্চ-প্যাড গুলিতে লুকিয়ে জঙ্গিরা
ওই আধিকারিকের আরও দাবি বর্তমানে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে কিছুটা হলেও জঙ্গি অনুপ্রবেশ করেছে। তবে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর লঞ্চ-প্যাড গুলির কাছে কোনও সক্রিয় জঙ্গি রয়েছে বলে অনুমান। এই প্রসঙ্গে ওই বিএসএফ আধিকারিক বলেন, "নিয়ন্ত্রণ রেখার উল্টোদিকে লঞ্চ প্যাডগুলিতে কত জঙ্গি রয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান আমাদের কাছে নেই তবে জঙ্গিরা যে এই লঞ্চ প্যাডগুলিতে রয়েছে সে ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত। ওই জায়গায় গুলিতেই বেশিরভাগ সময় তারা লুকিয়ে থাকার চেষ্টা করে। "
জঙ্গিদের হাতে নতুন স্যাটেলাইট ফোন
কিছুদিন থেকে শোনা যাচ্ছিল প্রতিকূল পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য ও হ্যান্ডলারের সাথে যোগাযোগের জন্য জঙ্গিরা সাম্প্রতিক মাসগুলিতে তাদের স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করছিল। চাইলে আজমল সিংহ বলেন, "জঙ্গিদের স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার নতুন কিছু নয়। আমাদের কাছেও স্যাটেলাইট ফোন রয়েছে এবং আমরা সেগুলিও ব্যবহার করি। আমাদের বর্তমানে যে সিস্টেমটি রয়েছে তাতে সহজেই ক্ষেত্রে জঙ্গিদের আটকানো যায়। আর পাকিস্তানের থেকে প্রযুক্তিগত দিক থেকে ভারত অনেকটাই এগিয়ে।"
চলতি বছরে প্রায় আড়াই হাজার বারের বেশি যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন পাকিস্তানের
২০০৩ সাল থেকেই ভারত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারত-পাক সীমান্তে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে আসছে। কিন্তু সে দিকে কর্ণপাত না করে চলতি বছরে আড়াই হাজারেরও বেশিবার জম্মু কাশ্মীরের ভারত পাক নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান।
ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, অক্টোবর মাসে মাসে প্রায় ৩৫০ বারেরও বেশিবার উপত্যকায় নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করতে দেখা যায় পাকিস্তানকে। নভেম্বরের প্রথম ১১ দিনের মধ্যে ৯৯ বার নিয়ন্ত্রণ রেখায় যুদ্ধ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করতে দেখা যায় পাকিস্তানকে।
এর আগে চলতি বছরে শুধুমাত্র আগস্ট মাসেই পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের সংখ্যা ৩০০-র ঘরে পৌঁছায়। ওই মাসেই দীর্ঘ ৭০ বছরের ইতিহাস ভেঙে কাশ্মীরের জন্য বিশেষ ক্ষমতা প্রদানকারী সংবিধানের ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়া হয় মোদী সরকারের তরফে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রবল বিরোধিতা করে ইসলামাবাদ। ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, ওই মাসে সব মিলিয়ে ৩০৭ বার নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে পাক সেনা।
হাত কেটে ফেললেন বিধায়ক! অসম বিধানসভায় তুমুল শোরগোল