পাকিস্তান-জঙ্গি আতাঁতের পর্দা ফাঁস, ইসলামাবাদের প্ল্যান নিয়ে কী বলল কাশ্মীর পুলিশ?
জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপে ইন্ধন যোগাচ্ছে পাকিস্তান। এমনই অভিযোগ আনলেন জম্মু ও কাশ্মীরের ডিজিপি দিলগবাগ সিং। পাশাপাশি পাকিস্তান করোনাকালে কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করলেন কাশ্মীর পুলিশের প্রধান। প্রসঙ্গত, এদিনই কাশ্মীরের রাজৌরি থেকে ৩ লস্কর জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
পাকিস্তান কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদে ইন্ধন যোগানোর চেষ্টা করছে
এদিন দিলবাগ সিং বলেন, 'পাকিস্তান ক্রমাগত কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে ইন্ধন যোগানোর চেষ্টা করছে। তারা কাশ্মীর এলাকায় সব জঙ্গি সংগঠনকে সাহায্য করে যাচ্ছে। তবে আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। যেকোনও ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্যে প্রস্তুত। আমরা কাশ্মীরে ড্রাগস পাচারও রুখছি। মূলত পাকিস্তানের থেকেই এই পাচার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। নার্কো সন্ত্রাসবাদ চালাচ্ছে পাকিস্তান।'
কাশ্মীরের শান্তি বিগ্নিত করার চেষ্টা
তিনি আরও বলেন, 'পাকিস্তান কাশ্মীরের শান্তি বিগ্নিত করার চেষ্টা করছে। তারা ড্রোনের মাধ্যমে অস্ত্র পাঠাচ্ছে কাশ্মীরে থাকা বিচ্ছিনতাবাদীদের জন্যে। তাছাড়া কাশ্মীর সীমান্ত পারে জঙ্গি অনুপ্রবেশে মদত দিচ্ছে পাকিস্তান। তবে আমরা এই সব কার্যকলাপের উপর নজর রাখছি। আমাদের গোয়েন্দারা সব ধরনের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা করছে।'
রাজৌরি জেলা থেকে গ্রেফতার তিন জঙ্গি
প্রসঙ্গত, এদিন সকালেই কাশ্মীরের রাজৌরি জেলা থেকে গ্রেফতার তিন জঙ্গি। তারা লস্কর-ই-তইবা গোষ্ঠীর সদস্য বলে জানা গিয়েছে। তাদের কাছ থেকে গোলাবারুদসহ বেশকিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃত তিনজন দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার বাসিন্দা। নাম রাহিল বাসির, আমির জান, হাফিজ ইউনিস ওয়ানি। বয়স ১৯ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে।
উদ্ধার বিপুল অস্ত্র
ধৃতরা রাজৌরিতে অস্ত্র আনতে গিয়েছিল। অস্ত্রগুলি ড্রোনের মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে সরবরাহ করা হচ্ছিল। জম্মুর ইনস্পেক্টর জেনারেল মুকেশ সিং জানিয়েছেন, তিন জনই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার সদস্য। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে দু'টি একে-৫৬ রাইফেল, ১৮০ রাউন্ড কার্তুজসহ ছয়টি একে-ম্যাগাজিন, দু'টি চিনা পিস্তল, ৩০ রাউন্ড কার্তুজসহ তিনটি পিস্তল ম্যাগাজিন, চারটি গ্রেনেড। এছাড়াও উদ্ধার হয়েছে ১ লক্ষ টাকা।