জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকায় ধৃত ডিএসপির পদক বাজেয়াপ্ত করল কাশ্মীর সরকার
ডিএসপি দবিন্দর সিংকে সাহসিকতার জন্যে দেওয়া শের-ই-কাশ্মীর পদকটি বাজেয়াপ্ত করল জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন। কয়েকদিন আগেই দক্ষিণ কাশ্মীরে একটি গাড়িতে তাঁকে দুই কুখ্যাত জঙ্গির সঙ্গে হাতেনাতে ধরা পড়েন দবিন্দর সিং। এরপর থেকেই তাঁর জঙ্গিযোগের বিষয়ে নিশ্চিত হতে জেরা করা হচ্ছে দবিন্দরকে। এরই মাঝে তাঁর সেই পদক ফেরত নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায় সরকার।
এনআইএ-র হাতে তুলে দেওয়া হবে দবিন্দরকে
এক হিজবুল ও লস্কর জঙ্গিকে সঙ্গে নিয়ে কাশ্মীরের আইপিএস অফিসার তথা ডিএসপি পদাধিকারী দবিন্দর সিং গতকালই ধরা পড়েছেন। আর তারপরই পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে, দবিন্দর সিংকে 'জঙ্গি' র মতো করেই দেখছে ভারতীয় পুলিশ প্রশাসন। এদিকে ইতিমধ্যেই জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ দবিন্দরকে বরখাস্ত করার সুপারিশ জানিয়েছে। পাশাপাশি তাকে তদন্তের স্বার্থে এনআইএ-র হাতে তুলে দেওয়ার কথাও হচ্ছে।
ডিএসপির বাড়ি থেকে উদ্ধার গ্রেনেড ও একে ৪৭
নাভিদ ও আলতাফ নামের দুই জঙ্গির সঙ্গে তিনি যাচ্ছিলেন কোনও জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরের দিকে, বলে খবর ছিল পুলিশের কাছে। প্রসঙ্গত, পুলিশের কাছে খবর ছিল ওই গাড়িতে জঙ্গিরা রয়েছে। তবে তারমধ্যে যে পুলিশ কর্তা থাকবেন, তা হতবাক করে পুলিশকে। এরপর ডিএসপির বাড়িতে তল্লাসি চালিয়ে একাধিক গ্রেনেড ও একে ৪৭ উদ্ধার করা হয়।
সংসদ হামলায় জড়িত দাবিন্দর?
এদিকে কাশ্মীরের ধৃত ডিএসপির সঙ্গে ২০০১-র সংসদ হামলার যোগ থাকার সম্ভাবনা ফের ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের। এর আগে ২০১৩ সালে আফজল গুরুর লেখা একটি চিঠিতে সেই যোগ প্রথমবার সামনে এলও তখন সেটিকে ষড়যন্ত্র বলে মনে করা হয় এবং দবিন্দর ছাড় পেয়ে যান।
দবিন্দরের নামে আফজল গুরুর অভিযোগ
২০১৩ সালে আফজল গুরু একটি চিঠিতে লিখেছিলেন দেবেন্দ্র তাঁকে এক পাকিস্তানি নাগরিক মহম্মদকে সঙ্গে রাখতে বলেছিলেন। দিল্লিতে ওই পাকিস্তানি নাগরিকের থাকার জন্য একটি ভাড়ার বাড়ির বন্দোবস্ত করে দিতে বলেছিলেন দবিন্দর সিং। এমন কী মহম্মদের জন্য একটি গাড়ি কিনে দেওয়ার দায়িত্বও দিয়েছিলেন আফজলের উপর।