জম্মু–কাশ্মীর ও লাদাখে রেকর্ড শীত, তাপমাত্রা নামল মাইনাসে
জম্মু–কাশ্মীর ও লাদাখে রেকর্ড শীত, তাপমাত্রা নামল মাইনাসে
জম্মু–কাশ্মীর ও লাদাখের অধিকাংশ অঞ্চলেই রাতের তাপমাত্রা ক্রমাগত নীচের দিকে নামতে শুরু করে দিয়েছে। সম্প্রতি এই দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে তুষারপাত হওয়ায় শীত জাঁকিয়ে পড়েছে এখানে। মঙ্গলবার বহুবার ধ্বস নামার ফলে কিছুক্ষণের জন্য স্তব্ধ হয়ে যায় জম্মু–শ্রীনগরের জাতীয় সড়ক।
তুষারে আবৃত পাহাড় থেকে বরফ ঠাণ্ডা হাওয়া রাতের দিকে দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মানুষকে কাঁপিয়ে দিলেও সকালে সূর্য্যের তীব্র রৌদ্র কিছুক্ষণের জন্য হলেও স্বস্তি দিচ্ছে তাঁদের। দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাম হিল রিসোর্ট, যেটি বার্ষিক অমরনাথ যাত্রার বেস ক্যাম্প এবং সেই সময় পুর্ণ্যার্থিরা এখানে এসে থাকেন। এ বছরের শীতে এই জায়গাটি রাজ্যের সবচেয়ে ঠাণ্ডা এলাকা হয়ে রয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, পহেলগামে এখন তাপমাত্রা মাইনাস ১২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, উত্তর কাশ্মীরের গুলমার্গে জনপ্রিয় স্কাই রিসর্ট ঠাণ্ডায় জমে গিয়েছে। ওখানে এখন মাইনাস ১১.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে, শ্রীনগরে ন্যূনতম তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি নেমে গিয়ে মাইনাস ৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে স্থিত হয়েছে।
সকালের রৌদ্র শ্রীনগরবাসীকে আরাম দিলেও, শুক্রবার এই মরশুমের তৃতীয় তুষারপাতের সাক্ষী থাকেন তাঁরা। জম্মু–কাশ্মীরের পাশাপাশি লেহ–লাদাখের তাপমাত্রাও মাইনাসে নেমে এসেছে। রাতে এখানে মাইনাস ১২.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। জম্মুতে ন্যূনতম তাপমাত্রা সামান্য উন্নতি হলেও তা ৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে স্থিত হয়। সকালে ঠাণ্ডা বাতাসের সঙ্গে ভারী মেঘের আবরণ মানুষকে শীতের হাত থেকে বাঁচতে ঘরে বসে থাকতে বাধ্য করে। জম্মুর দোদা জেলার ভদেরওয়াতে এ বছর রেকর্ড শীত পড়েছে। এখানে তাপমাত্রা ৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মাতা বৈষ্ণদেবীর মন্দিরে যাওয়ার বেস ক্যাম্প কাতরাতে ৫.১ ডিগ্রির সেলসিয়াসের নীচে তাপমাত্রা রয়েছে। ট্রাফিকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গাঙ্গরু–রামসু এবং রামবান রামবান জেলার মৌমপাসিতে সোমবার সারা রাত ধরে ধ্বস নামে। যার জেরে কাশ্মীর সহ গোটা দেশের সঙ্গে ২৭০ কিমি লম্বা জাতীয় সড়ক কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায় এবং যান চলাচল ব্যহত হয়ে পড়ে মঙ্গলবার।