৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পাঁচ মাস পর মুক্তি পেলেন চার কাশ্মীরি রাজনীতিবিদ
আরও চারজন কাশ্মীরি রাজনীতিবিদকে মুক্তি দেওয়ার কথা ঘোষণা করল জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন। জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের তরফে এই বিষয়ে জানানো হয় যে ন্যাশনাল কনফারেন্সের নাজির গুরেজি, পিডিপি-র আবদুল পক খান, পিপলস কনফারেন্লের মহম্মদ আব্বাস বানি ও কংগ্রেসের আবদুল রশিদকে শুক্রবার সন্ধ্যায় মুক্তি দেওয়া হয়। ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর থেকেই তাদেরকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছিল।
এর আগে ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর ৪ মাস বন্দী থাকার পর মুক্তি দেওয়া হয় পাঁচ রাজনীতিবিদকে। ন্যাশনাল কনফারেন্সের ইশফাক জব্বর, গুলাম নবি ভাট, কংগ্রেসের বশির মীর ও পিডিপি-র জাহর মির ও ইয়াসির রেশিকে এদিন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত বছরের ২৫ নভেম্বরও পিডিপি-র দিলাওয়ার মীর ও ডেমোক্রেটিক পার্টি ন্যাশনালিস্টের গুলাম হাসান মীরকেও ছেড়ে দিয়েছিল কেন্দ্রশাসিত প্রশাসন।
৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের ঘোষণার মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের বিশেষ অধিকার বাতিল করা হয়। এরপর অপর একটি আইন পাশ করিয়ে জম্মু ও কাশ্মিরকে এবং লাদাখকে পৃথক দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার কথা ঘোষণা করা হয়। এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে কাশ্মিরজুড়ে মোতায়েন করা হয় বিপুলসংখ্যক অতিরিক্ত নিরাপত্তারক্ষী। ইন্টারনেট-মোবাইল পরিষেবা বন্ধ রাখা হয় বহুদিন। গ্রেফতার করা হয় সেখানকার বিচ্ছিনতাবাদী নেতা ও রাজনৈতিক নেতাদের। ৩৭০ ধারা বাতিলের ঘোষণার আগেই প্রাক্তন তিন মুখ্যমন্ত্রী ফারিক আব্দুল্লাহ, তাঁর ছেলে ওমর আব্দুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতিকে আটক করে গৃহবন্দী করা হয়।
এদিকে কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি ও পরিকল্পনা মানুষকে বোঝাতে সেখানে যেতে চলেছেন অন্তত ৩৬ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ৩৭০ ধারা প্রত্যাহেরের পর প্রথমবার এরকম পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কাশ্মীরের জনগণকে বোঝআতে চেয়েছিলেন যে ৩৭০ ধারা লাগু থাকার জেরে কী ভাবে কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে বঞ্চিত থাকতে হয়েছিল কাশ্মীরিদের। জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের এই সফর ১৮ জানুয়ারি শুরু হবে। কাশ্মীরের বিভিন্ন জেলায় তারা ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ঘুরে ঘুরে এই প্রচার চালাবেন।