জামিয়ার আততায়ী রামভক্ত কট্টরপন্থার দিকে হাঁটছিল ! অনলাইনে সে কী করত, উঠে এলো জেরায়
গান্ধীজির মৃত্যু বার্ষিকীতে দিল্লির রাজঘাট পর্যন্ত সিএএ বিরোধী একটি মিছিল যাচ্ছিল জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আর সেই সময় আচমকা গুলি। একদিকে মিডিয়া কর্মীরা অন্যদিকে পুলিশ, আর তাঁদের মাঝেই কালো জ্যাকেট পরে হাতে বন্দুক নিয়ে সোজা নিজের ইচ্ছে মতো গুলি চালাতে চালাতে এগিয়ে যাচ্ছিল রামভক্ত গোপাল নামের জনৈক এক যুবক। বৃহস্পতিবারের এই দৃশ্য গোটা দেশকে আতঙ্কিত করেছে। শারজিল ইমামের পর রামভক্ত গোপালের এই ঘটনা ফের একবার আলোচনার কেন্দ্রে এসেছে। মুহূর্তে বৃহস্পতিবার গোপালকে গ্রেফতার করা হলে পুলিশি জেরায় উঠে আসতে শুরু করে একাধিক বক্তব্য।
উগ্রবাদের রাস্তায় হাঁটছিল রামভক্ত!
পুলিশি জেরার মুখে রামভক্ত গোপাল জানিয়েছে, সে গত ২ বছর ধরে হামলা নিয়ে বিভিন্ন পোস্ট পড়ত অনলাইনে। হামলার কায়দা বা আক্রমণ সংক্রান্ত বিষয় তাকে আকর্ষণ করত। এই কিশোর নিজেই নিজেকে ধীরে ধীরে কট্টরপন্থা , উগ্রবাদের ভাবনা চিন্তার দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। এমনই খবর পুলিশ সূত্রে।
কোন ধরনের পোস্ট সে শেয়ার করত?
পুলিশি জেরায় রামভক্ত জানিয়েছে ,প্রতিদিন অনলাইনে একাধিক উস্কানিমূলক বক্তব্যের ভিডিও সে দেখত। সেই ধরনের ভিডিও সে নিজেও পোস্ট করতে ফেসবুকে।
বজরং দলের সঙ্গে যোগ ছিল রামভক্তের?
পুলিশি জেরায় জানা গিয়েছে, গত ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে কিশোর রামভক্ত গোপাল বজরং দল আয়োজিত একটি সভায় যোগ দেয়। জেওয়ার নামের একটি জায়গায় দল বিক্ষোভ আয়োজন করেছিল, আর সেখানেই পৌঁছে যায় রামভক্ত।
জামিয়ার প্রাক্তনীরা চাইছেন অনুরাগ ঠাকুরের বিরুদ্ধে এফআইআর
দিল্লি নির্বাচনের পারদ চড়িয়ে বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর কয়েকদিন আগেই হুঙ্কার দিয়েছিলেন 'গোলি মারো' মন্তব্যে। এরপরই জামিয়ায় এমন গুলি চালানোর ঘটনার পর, অনুরাগ ঠাকুরের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে জামিয়ার প্রাক্তনীদের সংগঠন। শুধু অনুরাগ নন, পরবেশ বর্মা ও কপিল মিশ্রর বিরুদ্ধেও এমন এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
|
৬০ জন প্রতিবাদী আটক
এদিকে, গতকালের গুলি চালনা কাণ্ডে উত্তেজনার আগুন ধীক ধীক করে জ্বলছে জামিয়া চত্বরে। এদিন দিল্লি পুলিশ হেড কোয়ার্টারের সামনে গিয়ে প্রতিবাদ জানান জামিয়ার পড়ুয়ারা। সেখান থেকে ৬০ পড়ুয়াকে আটক করে রাজেন্দ্র নগর পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।