জম্মু ও কাশ্মীরে ১১টি জায়গায় অভিযান, সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর ৯০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত অনন্তনাগে
জম্মু ও কাশ্মীরে ১১টি জায়গায় অভিযান, সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর ৯০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত অনন্তনাগে
জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগে নিষিদ্ধ ইসলামি গোষ্ঠী জামাত-ই- ইসলামির ১১টি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যার মূল্য প্রায় ৯০ কোটি টাকা। ইসলামি নিষিদ্ধ গোষ্ঠী জামাত-ই-ইসলামির বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর অবস্থান নিয়েছে। সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরে একাধিক বিচ্ছিন্নতাবাদী হামলা জামাত-ই-ইসলামির সক্রিয়তা দেখা দেওয়ার পরেই এই অভিযান শুরু করা হয়।
জম্মু ও কাশ্মীরের তদন্তকারীর সংস্থা এসআইএ রাজ্যের ২০০টি সম্পত্তি চিহ্নিত করেছে। এই সম্পত্তিগুলো মূলত নিষিদ্ধ গোষ্ঠীগুলোর। জানা গিয়েছে, চলতি মাসের শুরুর দিকে নিষিদ্ধ ইসলামি গোষ্ঠীর দুটি স্কুলবাড়ি সহ সোপিয়ান জেলার নয়টি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এসআইএ-এর আধিকারিকরা বলেছেন, শনিবার অনন্তনাগের বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালানো হয়।
জানা গিয়েছে, এসআইএ-এর তদন্তকারী অধিকারিকারিকরা পুলিশের একটি বড় দলের সঙ্গে অভিযান চালায়। নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠীর মোট ১১টি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে এসআইএ-র তরফে জানানো হয়েছে। অনন্তনাগের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে একটি নির্দেশ পাওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়। সম্পত্তিগুলো সিল করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত জামাত ই ইসলামি জম্মু ও কাশ্মীরের বৃহত্তম ধর্মীয় ও রাজনৈতিক দল ছিল। ২০১৯ সালে জামাত-ই-ইসলামিকে নিষিদ্ধ করা হয়। নিষিদ্ধ হওয়ার আগে জামাত-ই-ইসালির স্কুল সহ একাধিক সামাজিক সংগঠন ছিল। মূলত জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদকে মদত দেওয়ার অভিযোগে জামাত-ই-ইসলামির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। জামাতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, নব্বইয়ের দশকে কাশ্মীরের বৃহত্তম সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী হিজবুল মুজাহিদিনকে সমর্থন করে।
এসআইএ-র একটি রিপোর্ট অনুসারে জামাত-ই ইসলামি গোষ্ঠীর বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে আবাসিক বাড়ি, শপিং কমপ্লেক্স এবং কৃষি জমি। বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির ওপর নোটিশ বসানো হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, অনন্তনাগের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ অনুসারে জামাত-ই-ইসলামির বেআইনি এই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে। এই সম্পত্তিতে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। এই সম্পত্তিতে প্রবেশ করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জম্মু ও কাশ্মীরের তদন্তকারী সংস্থা এসআইএ জানিয়েছে, জামাত ই ইসলামের অধীনে রাজ্যজুড়ে কয়েকশো কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রায় প্রতিটি জেলাতে সম্পত্তি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর আগেএসআইএ-এর তরফে জানানো হয়েছিল, বিচ্ছিন্নতাবাদী এই সংস্থা তাদের সম্পত্তি ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস তৈরি করতে কাজে লাগাচ্ছে। যার ফলে দেশের সার্বভৌমত্ব ও শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে।
রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রা, রয়্যাল এনফিল্ডে চড়ে ঘুরছেন মধ্যপ্রদেশ