'বর্ণবিদ্বেষের ঘটনা থেকে চোখ সরিয়ে নিতে পারে না ভারত', ব্রিটেনকে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের
কয়েকদিন আগেই, ভারতে কৃষক আন্দোলন ইস্যুতে ব্রিটেনের তরফে এসেছিল খোঁচা। কৃষি আইন নিয়ে ব্রিটিশ সাংসদদের হইচই নজর কেড়েছে অনেকের।এরপর ব্রিটেনের বুকে ভারতের রশ্মি সামন্তের সঙ্গে ঘটে যাওয়া বর্ণবিদ্বেষের ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিব ভারত।
ইতিহাস গড়ে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ছাত্র ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট হন ভারতীয় বংশোদ্ভূত রশ্মি সামন্ত। তবে পরে তাঁকে সেই পদ ছাড়তে হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় রশ্মী দাবি করেন , বর্ণ বিদ্বেষের জেরে তাঁকে এ ই পদ ছাড়তে হয়েছে। এরপরই বিষয়টি তোলপাড় ফেলে দেয়। একচুল ছেড়ে কথা বলে না দিল্লি। সংসদে বিষয়টি তোলেন বিজেপি সাংসদ অশ্বিনী বৈষ্ণো এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি ব্রিটিশ রাজ পরিবারে বর্ণবিদ্বে। নিয়েও কথা বলেন। কয়েকদিন আগে ব্রিটেনের রাজ বধূ মেগান মর্কেল বর্ণ বিদ্বেষের প্রসঙ্গটি তুলেছেন তাঁর এক সাক্ষাৎকারে।
জয়শঙ্কর বলেন, ' গান্ধীজির দেশের প্রতিনিধি হয়ে বর্ণ বিদ্বেষ মেনে নেব না কিছুতেই। ব্রিটেনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভাল। অবশ্যই এই বিষয়ে আমাদের বক্তব্য জানাব'। এদিকে, রশ্মি নিজের উদ্বেগ জানিয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনে বার্তা পাঠিয়েছে । বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেন, ব্রিটেনের বন্ধু হিসাবে সেদেশের ভাবমূর্তি নিয়ে ভারত 'কনসার্নড'। এই বর্ণবিদ্বেষের ঘটনায় প্রতিটি দিকে নজর রাখবে দিল্লি।