প্যাংগং থেকে চিন সেনা সরতেই শান্তি ফেরার ইঙ্গিত, লাদাখ নিয়ে ইতিবাচক বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর!
লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চিনের মধ্যে শান্তি ফেরানো ও উত্তেজনা কমানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে এদিন ফের মন্তব্য করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এদিন তিনি বলেন, 'লাদাখে যা হচ্ছে তা হল সেখানে আমাদের দুই দেশকেই সেনা প্রত্যাহার করতে হবে। কারণ এই মুহূর্তে দুই দেশের সেনা খুপ উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে রয়েছে। তবে ভালো খবর যে সেই প্রক্রিয়া ভালো মতো এগোচ্ছে।'
শান্তি ফেরার ইঙ্গিত
এদিকে শান্তি ফেরার ইঙ্গিত মিলেছে এদিনই। জানা যায় যে লাদাখের মোট তিনটি জায়গা থেকে চুক্তিমতো সেনা প্রত্যাহার শুরু করল চিন। জানা গিয়েছে এলএসি-র হট স্প্রিং এলাকা থেকে পিছু হঠল লালফৌজ। একইভাবে ভারতীয় সেনাও পিছু হঠেছে। তবে প্যাংগংয়ে গতকাল পর্যন্তও প্রচুর সেনা মোতায়েন রেখেছিল চিন। তবে ছবি বদলাচ্ছে।
প্যাংগং থেকেও ক্রমশ সরছে চিনের সেনাবাহিনী
এক স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গিয়েছে প্যাংগং থেকেও ক্রমশ সরছে চিনের সেনাবাহিনী। শুক্রবারের যে স্যাটেলাইট ইমেজ প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে পরিস্কার দেখা যাচ্ছে যে প্যাংগং লেকের ধারে ক্রমশ কমে আসছে চিনা সেনার উপস্থিতি।
কয়েক'শ চিনা সৈন্যের তাঁবু সরানো হয়
এর আগে গত ২৬ জুনের যে ছবি দেখা গিয়েছিল, সেখানে লেকের নীল জলের ধারে ছিল চিনা সৈন্যের ভিড়। আজ সেই অংশ অনেকটাই ফাঁকা। তবে এখনও কয়েক'শ চিনা সৈন্যের তাঁবু দেখা যাচ্ছে ওই অঞ্চলে। এখনও চিনা সেনার পুরোপুরি সরে যাওয়ার ছবি দেখা যাচ্ছে না।
টহলদারী সীমান্ত নিয়ে বিবাদ
টহলদারী সীমান্ত নিয়ে বরাবরই ভারত ও চিনের মধ্যে চাপা উত্তেজনা ছিল। ভারত বিশ্বাস করে 'ফিঙ্গার ১' থেকে 'ফিঙ্গার ৮' পর্যন্ত টহল দেওয়ার অধিকার রয়েছে তাদের এবং চিন মনে করে যে 'ফিঙ্গার ৮' থেকে 'ফিঙ্গার ৪' পর্যন্ত টহল দেওয়ার অধিকার রয়েছে তাদেরই।
ফিঙ্গার ৪-এর সংঘর্ষ৫
১৫ জুন, এই 'ফিঙ্গার ৪' এলাকাতেই উভয় পক্ষের সেনার মধ্যে সহিংস সংঘর্ষ বাঁধে। পরে উভয় পক্ষের সীমানা যেখানে কয়েক হাজার ভারতীয় সৈন্যকে কাঁটাতারের সাথে জড়িত লাঠির মতো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করা হয়েছিল। 'ফিঙ্গার ৪'-এ এই জন্যেই উল্লেখযোগ্য হারে সেনার সংখ্যা বাড়িয়েছিল চিন যাতে ভারতীয় সেনারা আর 'ফিঙ্গার ৮' এর দিক দিয়ে টহল দেওয়ার সুযোগ না পায়।