শ্রীনগরে পুলিশ বাসে জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করল জঈশ, ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট চাইলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
ভর সন্ধায় জঙ্গি হামলায় কেঁপে উঠল শ্রীনগর। পুলিশ বাস লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি জঙ্গিদের। শ্রীনগরের পান্থাচকের জেওয়াল এলাকাতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। গুরুতর আহত আর
ভর সন্ধায় জঙ্গি হামলায় কেঁপে উঠল শ্রীনগর। পুলিশ বাস লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি জঙ্গিদের। শ্রীনগরের পান্থাচকের জেওয়াল এলাকাতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। গুরুতর আহত আরও ১১ জন পুলিশ কর্মী।
যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেই খবর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা। ঘটনার পরেই জঙ্গিদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।
অন্যদিকে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে জইশ-ই-মহম্মদ। যদিও প্রাথমিক ভাবে জম্মু-কাশ্মীরের United Liberation Front (ULF) নিষিদ্ধ সংগঠনটিই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছিল। তবে কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, এই ঘটনার পিছনে রয়েছে জইশ।
যারা নিজেদের কাশ্মীর টাইগার বলে দাবি করে বলে জানান ওই পুলিশ কর্তা। তবে এই ঘটনার পরে গোটা শ্রীনগর জুড়ে চিরুনি তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিজয় কুমার।
পাশাপাশি এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজয় কুমার পুরো ঘটনার বিস্তারিত তথ্য দেন। বলেন, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ওই বাসে ২৫ জন জওয়ান ছিলেন। হঠাত করেই দুই থেকে তিনজন জওয়ান হামলা করে বলে দাবি ওই পুলিশ কর্তার। কালো কাপড়ে জঙ্গিদের মুখ ঢাকা ছিল। কেউ বুঝে ওঠার আগেই বাস লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় জঙ্গিরা। আর তাতেই ১৪ জন জওয়ান আহত হন বলে জানিয়েছেন কাশ্মীর পুলিশের আইজি।
শুধু তাই নয়, ঘটনায় দুজন জওয়ান শহিদ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে জঙ্গিদের জবাব দিতে জওয়ানরা পিছুপা হননি। ওই অবস্থাতেই জঙ্গিদের উপর পালটা প্রত্যাঘাত করে। তাতে এক জঙ্গি গুলিবিদ্ধ হয়। কিন্তু ধরা সম্ভব হয়নি। তাকে নিয়েই এলাকা ছাড়ে অন্যান্য জঙ্গিরা। দাবি ওই পুলিশ কর্তার।
আর এরপরেই জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। গোটা শ্রীনগর জুড়ে হাই অ্যালার্ট দেওয়া হয়েছে। বাহিনী অ্যালার্টে রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে আজ সোমবার বারানসিতে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ক্রুজে বসে গঙ্গা আরতি দেখার সময়ে এই ঘটনা সামনে আসে। জানা যায়, এরপরেই পুরো ঘটনার বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠান পিএমও। কেন এবং কীভাবে এই ঘটনা বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়। একই সঙ্গে আহতদের খোঁজখবরও নেন প্রধানমন্ত্রী। এমনটাই খবর। অন্যদিকে ঘটনায় দুঃখপ্রকাশও জানান প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি শহিদের পরিবারদের পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি।
তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। আজ সংসদ হামলার ২০ বছর। সেই ঘটনারও দায় স্বীকার করে জইশ। ঘটনার দিনই ফের হামলা চালাল পাকিস্তানের এই সংগঠন।