বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি নিয়ে হামলার আগে কী বলেছিল উন্মাদ জঙ্গি, সামনে এল সেই বার্তা
এক বদ্ধ উন্মাদ যাকে বলে। জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ-এর এটাই স্কুলিং। আর সন্ত্রাসের এই শিক্ষাতেই মানুষকে মানববোমা হিসাবে ব্যবহার করে আসছে তারা।
এক বদ্ধ উন্মাদ যাকে বলে। জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ-এর এটাই স্কুলিং। আর সন্ত্রাসের এই শিক্ষাতেই মানুষকে মানববোমা হিসাবে ব্যবহার করে আসছে তারা। পুলওয়ামা জঙ্গি হামলায় জইশ-ই-মহম্মদ একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। এই ভিডিও-তে থাকা জঙ্গির নাম আদিল ওরফে ওয়াকা। এই আদিলই পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে হামলায় আত্মঘাতী জঙ্গি হিসাবে কাজ করেছে। যার কাজ ছিল ৩৫০ কিলো বিস্ফোরক ভর্তি স্করপিও গাড়িটিকে সরাসরি সিআরপিএফ কনভয়ে ধাক্কা মারা।
ভিডিও-তে জইশ-ই-মহম্মদ দাবি করেছে এটি আত্মঘাতী হামলার কিছু আগে তোলা হয়েছিল। এই ভিডিও-তে আদিল জানিয়েছে, 'এই ভিডিও যখন সকলের কাছে পৌঁছবে ততক্ষণে আমি স্বর্গে চলে যাব। আমি এক বছর ধরে জয়স-এর সঙ্গে জঙ্গি হিসাবে কাজ করছি এবং কাশ্মীরের মানুষের উদ্দেশে এটাই আমার শেষ বার্তা।'
জানা গিয়েছে ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ থেকে নিখোঁজ আদিল হুসেন দাড়। তার বাড়়ি পুলওয়ামার গুণ্ডিবাগে। তার সঙ্গে আরও দুই স্থানীয় যুবক নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। এদের মধ্য়ে একজনের নাম তৌসিফ এবং অন্যজন ওয়াসিম। তৌসিফের বড় ভাই মঞ্জুর আগমেদ দাড়-ও একজন জঙ্গি ছিল এবং ২০১৬ সালে মারা যায়। আদিল স্কুল ড্রপআউট এবং রাজমিস্ত্রী হিসাবে কাজ করত। স্থানীয় মসজিদে নমাজ পাঠ সে নেতৃত্ব দিত।
দেশে উপত্যকায় যত বড় জঙ্গি হামলা হয়েছে তাতে সমানে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছে জয়স-ই মহম্মদ। আইসিএ ১৮ হাইজ্যাকিং, ২০০১ সালে সংসদ হামলা, নাগরোটা অ্যাটাক, উরি হামলা এবং পাঠানকোটে আইএএফ বেস অ্যাটাকের মতো ঘটনায় নাম জড়িয়েছে জইশ-ই-মহম্মদ-এর। আদিল-কে এই হামলার কথা বলে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।
আদিল-এর ভিডিও বার্তায় আরও সে জানিয়েছে যে, ' দক্ষিণ কাশ্মীরের লোক ভারতের বিরুদ্ধে এবং এখন এই লড়াইয়ে উত্তর কাশ্মীর, মধ্য় কাশ্মীরেরও যোগ দেওয়া উচিত। এমনকী জম্মু-রও এই লড়াইে থাকা উচিত।'
এই ভিডিও বার্তায় আত্মঘাতী জঙ্গি আরও জানিয়েছে যে, 'আমাদের একটা দুটো কম্যান্ডারকে মেরে ফেলেও তোমরা আমাদের দূর্বল করতে পারবে না।' সম্প্রতি কাশ্মীরে যে স্নাইপার জঙ্গি হামলা ঘটেছে ভিডিও-তে তার-ও উল্লেখ করেছে সে।