হিমাচল প্রদেশের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন জয়রাম ঠাকুর
হিমাচল প্রদেশের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন জয়রাম ঠাকুর। বিজেপির পরিষদীয় দলের থেকে নেতা নির্বাচনের পর সরকার গঠনের দাবি জানিয়ে রাজ্যপালকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।
হিমাচল প্রদেশের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন জয়রাম ঠাকুর। বিজেপির পরিষদীয় দলের থেকে নেতা নির্বাচনের পর সরকার গঠনের দাবি জানিয়ে রাজ্যপালকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।
বিজেপি পরিষদীয় দলের বৈঠকে সর্বসম্মতিতে জয়রাম ঠাকুরের নাম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পাশ হয়। সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারমন এবং নরেন্দ্র সিং তোমার।
হিমাচল প্রদেশের মান্ডি জেলায় ১৯৬৫ সালে কৃষক পরিবারে জন্ম জয়রাম ঠাকুরের। তিনি ছাড়াও পরিবারের আরও দুই ভাই এবং দুই বোন। সবার ছোট ছিলেন জয়রাম। তাঁর বাবা ও ভাইরা মাঠে কাজ করলেও জয়রামের শিক্ষার জন্য খরচ করে গিয়েছেন তাঁরা। চণ্ডীগড়ের পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাশ করেন জয়রাম। বাবা চেয়েছিলেন কোনও চাকরি করুন কিংবা চাষের কাজেই মন দিক জয়রাম। কিন্তু জয়রামের মনে ঘুরছিল অন্য কিছু।
পরিবারে বিরোধিতা সত্ত্বেও হিমাচলের সেরাজ আসন থেকে ১৯৯৩ সালে বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জয়রাম। সেই সময় জয়রামের বয়স ছিল ২৮ বছর। কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরেও হেরে যান জয়রাম। সেই সময় অনেকেই ভেবেছিলেন রাজনীতিকে বিদায় জানাবেন জয়রাম। কিন্তু রাজনীতিতেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বিজেপির টিকিটেই ১৯৯৮ সালে ফের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং জয়ী হন। এরপর একই আসন থেকে পরপর চার বারের জয়ী জয়রাম ঠাকুর।
এরই মধ্যে ২০১৩ সালে মান্ডি লোকসভা উপনির্বাচনে বীরভদ্র সিং-এর স্ত্রী প্রতিভা সিং-এর কাছে হেরে যান জয়রাম।
২০০৮ সালে হিমাচল প্রদেশের প্রেমকুমার ধুমল সরকারের গ্রামীণ উন্নয়ন ও পঞ্চায়েত দফতরের মন্ত্রী হন জয়রাম। ২০০৭ থেকে ২০০৯-এর মধ্যে রাজ্যে বিজেপি সভাপতির দায়িত্বও সামলেছেন জয়রাম।
হিমাচল প্রদেশে বিজেপি বিভিন্ন অংশের কাছেই জনপ্রিয় এই নেতা। এবারের নির্বাচনের জয়রামের এলাকা থেকে ১৬ টি আসনে জিতেছে বিজেপি।
দলীয় সহকর্মী সাধনা ঠাকুরকে বিয়ে করেন জয়রাম। সাধনা পেশায় চিকিৎসক। দলীয় সিদ্ধান্তে স্বভাবতই খুশি জয়রামের স্ত্রী সাধনা। ঠাকুর ছাড়াও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডার নামও মুখ্যমন্ত্রীত্বের জন্য আলোচনা উঠে এসেছিল।
হিমাচল বিধানসভায় ৬৮ আসনের বিধানসভায় ৪৪ টি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি।