খুনের মামলায় ১৪ বছরের জেল, মুক্তি পেয়ে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্নপূরণ কর্নাটকের ব্যক্তির
চিকিৎসক হয়ে মানবসেবা করবেন, এই আশা ছোট বয়স থেকে মনে পুষেছেন সুভাষ পাটিল। কিন্তু ২০০২ সালের একটা ঘটনা সেই স্বপ্নপূরণের প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায়। সে বছর খুনের দায়ে গ্রেফতার হতে হয়েছিল কর্ণাটকের আফজলপুরার সুভাষকে। এরপর ১৪ বছর জেলেই কাটান তিনি। তবে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে সুভাষ তাঁর ছোটবেলার স্বপ্নকে পূরণ করেছেন, চিকিৎসক হয়েছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে ২০০৬ সালে সাজা ঘোষণা হয় তাঁর। ১৪ বছরের জন্য জেলে যেতে হয় ওই ব্যাক্তিকে। এরপর ২০১৬ সালে সৎ আচরণের খাতিরে তাঁকে মুক্তি দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। তারপরেও হাল ছাড়েননি সুভাষ। শৈশবের সেই ইচ্ছার অনুপ্রেরণায় ২০১৯ সালে এমবিবিএস পাস করেন তিনি। জানা গিয়েছে, ১৯৯৭ সালে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি হয়েছিলেন আফজলপুরার সুভাষ। সেই কোর্সের যখন তৃতীয় বর্ষ, অর্থাৎ ২০০২ সালে খুনের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সেই থেকে স্টেথো–স্কেলপেল, সাদা অ্যাপ্রনের বদলে থানার পোশাক, জেল, শুনানি, মামলা, এইসবই ভবিতব্য হয়ে উঠে সুভাষের। অবশেষ ২০১৬ সালের স্বাধীনতা দিবসের দিন মুক্তি পেয়ে ফের ডাক্তার হতে উদ্যোগী হন আফজলপুরার সুভাষ। ২০১৯ সালে সেই স্বপ্নপূরণ হয় সুভাষের। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এক বছরের আবশ্যিক ইন্টার্নশিপ শেষ করে তিনি এমবিবিএস ডিগ্রি হাতে পেয়েছেন।
সুভাষ পাটিল, এমবিবিএস, সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, 'ডাক্তারি কোর্সের মাঝপথেই আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সে সময় জেলের ওপিডিতে অন্য ডাক্তারদের আমি সহায়তা করতাম। কিন্তু মনে জেদ ছিল আমাকে ডাক্তার হতেই হবে। সেই জেদই আমাকে সাহায্য করেছে ২০১৯ সালে স্বপ্নপূরণ করতে।’