ভূমিপুজোয় ভক্তি প্রদর্শনের প্রতিযোগিতা বিরোধীদের! জয় শ্রী রাম টুইট কেজরিওয়ালেরও
ভক্তির প্রতিযোগিতা বিরোধীদের! জয় শ্রী রাম টুইট কেজরিওয়ালেরও
জয় শ্রীরাম, জয় বজরংবলি! এভাবেই এদিন দেশবাসী ও আম আদমি পার্টির সমর্থকদের শুভেচ্ছা জানান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ভূমিপুজোর মুহূর্তে দলমত নির্বিশেষে রামভক্ত হয়ে উঠেছেন সকল রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরাই। কংগ্রেস থেকে আম আদমি পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেস সবাই রামমন্দিরের ভূমিপুজো উপলক্ষে আপ্লুত।
জয় শ্রীরাম, টুইট কেজরিওয়ালের
এদিন টুইট করে কেজরিওয়াল লেখেন, 'সকল দেশবাসীকে রাম জন্মভূমির মন্দিরের ভূমিপুজো উপলক্ষে শুভেচ্ছা। প্রার্থনা করি যে রামলালার আশীর্বাদ আমাদের সবার উপর পড়ুক। শ্রী রামের আশীর্বাদে দেশে খিদে ও দারিদ্র থাকবে না। আমরা বিশ্বের সব থেকে শক্তিশআলী দেশ হয়ে উঠব। তিনি আমাদের দেশকে ভবিষ্যতের পথ দেখাবে। জয় শ্রীরাম! জয় বজরংবলি!'
কয়েকদশকের জলঘোলার শেষ
কয়েকদশকের জলঘোলার পর শেষ পর্যন্ত গতবছর আদালতের নির্দেশে সবুজ সংকেত পায়। তবে এরপরও রামমন্দির তৈরি নিয়ে বিতর্কের অবসানের কোনও চিহ্ন নেই। গত সপ্তাহেই এই ভূমিপূজা আটকাতে মামলা গড়ায়ে আদালত পর্যন্ত। তবে সেক্ষেত্রে শেষ হাসি হেসেছে অযোধ্যা মন্দির নির্মাতারা। ভূমি পূজাকে কেন্দ্র করে জাতীয় রাজনীতিতে শুরু হয় তীব্র আলোড়ন।
প্রিয়াঙ্কার রাম পুজো নিয়ে টুইট
এরই মাঝে ভূমিপুজোর একদিন আগে বিরোধিতা ভুলে প্রিয়াঙ্কার বক্তব্য, জাতীয় ঐক্যের উৎসব হয়ে উঠুক রাম মন্দিরের ভূমিপুজো। প্রিয়াঙ্কা ভূমিপুজো নিয়ে বলেন, 'আশা করি, এই ভূমিপুজ জাতীয় ঐক্য ও সংস্কৃতিকে আরও দৃঢ় করবে।' শুধু প্রিয়াঙ্কা নয়, ভূমিপুজো নিয়ে বিরোধিতা ভুলে বক্তব্য রেখেছেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথও। নিজের বাড়িতে হনুমান চল্লিশা পাঠের ছোট্ট অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন তিনি। তবে প্রিয়াঙ্কা, কমল নাথরা এর সমর্থন জানালেও দিগ্বিজয় সিং করোনা আবহে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের বিরোধিতাই করেছেন।
মোদীর অযোধ্যা যাত্রা নিয়ে কংগ্রেসের আপত্তি
এর আগে অবশ্য মোদীর অযোধ্যা যাত্রা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল কংগ্রেস। তবে পরে সুর পাল্টে কংগ্রেস চেয়েছিল এই রাম পুজোয় অংশ নিতে। এই নিয়ে কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সালমান খুরশিদ বলেছিলেন, 'আদালতের রায়ের পর রামমন্দির নিয়ে সমস্ত বিবাদ আমরা পিছনে ফেলে এসেছি। তবে আমাদের মনে হয়, মন্দির নির্মাতাদের ভূমি পূজায় সকল রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো উচিৎ।'
শিবসেনার বক্তব্য
এই বিষয়ে সেনা নেতা সঞ্জয় রাউত বলেন, 'আসল কথা যে মন্দির তৈরি হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল প্রধানমন্ত্রী মোদী সেখানে যাচ্ছেন। পরে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে সেখানে যে কোনও সময় যেতে পারবেন। তাঁকে তো কেউ বাধা দেবে না।' এদিন সামনাতেও লেখা হয়, প্রধানমন্ত্রীর শিলান্যাশের মুহূর্তটাই হতে চলেছে সোনালী মুহূর্ত।