ইয়েস ব্যাঙ্কে সংকট, 'আটকে' জগন্নাথ মন্দিরের শত শত কোটি টাকা
সংকটে ইয়েস ব্যাঙ্ক। তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম বেঁচে গেলেও আটকে গেল পুরীর জগন্নাথ মন্দির। পুরীর জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ ৫৪৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিল ইয়েস ব্যাঙ্কে। কিন্তু বর্তমান সংকটের জেরে আপাতত সেই টাকা তারা তুলে নিতে পারছে না। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফ থেকে ৩০ দিনের মোরেটোরিয়ামের কথা জানানো হয়েছে। সেই সময়ের মধ্যে লমাত্র ৫০ হাজার টাকা তোলা যাবে।

ইয়েস ব্যাঙ্কে বিনিয়োগ জগন্নাথ মন্দিরের
পুরীর জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ ৫৪৫ কোটি টাকার দুটি ফিক্সড ডিপোজিট করেছিল ইয়েস ব্যাঙ্কে। যার সেগুলির ম্যাচিওর হওয়ার কথা ১৬ ও ২৯ মার্চ। ওড়িশার আইন মন্ত্রী প্রতাপ জেনা একথা জানিয়েছেন। টাকা ম্যাচিওর হওয়ার পর সেই টাকা তুলে নিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে।
রাজ্যের মন্ত্রী ওড়িশা বিধানসভায় জানিয়েছেন, মন্দিরের ৬২৬.৪৪ কোটি টাকার মধ্যে ৫৯২ কোটি টাকা রাখা হয়েছিল ইয়েস ব্যাঙ্কে। পরে ৪৭ কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়।

ইয়েস ব্যাঙ্কের আশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইয়েস ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, ওই টাকা তিনটি ধাপে ১৯, ২৩, ২৯ মার্চ দেওয়া হবে। যদিও পুরনো ম্যানেজমেন্টের আশ্বাসে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

আগেই টাকা তুলে নিয়েছিল তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম
ওয়াই ভি সুব্বা রেড্ডি তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পরেই চারটি ব্যাঙ্কে গচ্ছিত তাদের অর্থ সম্পর্কে বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করেন। এরপরেই পরিস্থিতি অনুযায়ী
ইয়েস ব্যাঙ্কে তাদের গচ্ছিত প্রায় ১৩০০ কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগনমোহন রেড্ডি এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে সেই সময় অবগত ছিলেন।

ইয়েস ব্যাঙ্ক নিয়ে আরবিআই
সংকটজনক পরিস্থিতিতে বেসরকারি ইয়েসব্যাঙ্কের পরিচালন পর্যদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ৩ এপ্রিলের মধ্যে আমানতকারীরা ৫০ হাজারের বেশি টাকা তুলতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেয় আরবিআই। পাশাপাশি এই সময়ের মধ্যে আর কোনও ঋণও ব্যাঙ্ক দিতে পারবে না বলে জানায় আরবিআই।
এদিন এসবিআই চেয়ারম্যান রজনীশ কুমার জানিয়েছেন, তাদের তরফ থেকে ইয়েস ব্যাঙ্কে বিনিয়োগ করা হবে। এসম্পর্কে শেয়ার বাজারকেও জানানো হয়েছে। ফলে গ্রাহকদের চিন্তার কোনও কারণ নেই।

সিইও-র সন্ধানে লুক আউট নোটিশ
মুম্বইয়ে ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও রানা কাপুরের বাড়িতে হানা ইডির। মাত্র একদিন আগেই আরবিআই ব্যাঙ্কের পরিচালন বোর্ডকে সরিয়ে দিয়েছে। ব্যাঙ্কের খারাপ আর্থিক অবস্থাকে চাঙ্গা করতে একাধিক পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে সর্বোচ্চ ব্যাঙ্ক। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইডির তরফে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ আনা হয়েছে ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে।
রানা কাপুরের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশও জারি করা হয়েছে। এছাড়াও ব্যাঙ্কের অন্য পদাধিকারীদের বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করা হয়েছে, যাতে তাঁরা দেশ ছাড়তে না পরেন।