অন্ধপ্রদেশের জন্য তিনটি পৃথক রাজধানীর প্রস্তাব জগনমোহনের
অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য তিনটি রাজধানীর প্রস্তাব দিলেন সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি। তাঁপ প্রস্তাব, বিশাখাপট্টনমকে শাসনমূলক রাজধানী, আইন-প্রণয়নকর রাজধানী হবে আমরাবতী এবং বিচারসংক্রান্ত রাজধানী করা হতে পারে কর্নুল।
অমরাবতী রাজধানীর জন্য নিরাপদ নয়। এমন প্রশ্ন অনেকদিন আগে থেকেউ উঠতে শুরু করেছিল। বিশেষ করে একমাস আগেই প্রবল বর্ষণে ফুঁসে উঠেছিল কৃষ্ণা নদী। তাতে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল অমরাবতীর তা সকলেরই জানা। চন্দ্রবাবু নাইডুকে পর্যন্ত তাঁর বাড়ি ছেডে যেতে বলেছিল অন্ধ্র সরকার। অল্প বৃষ্টিতে যদি রাজধানীর এই পরিস্থিতি হয়, তাতে বিকল্প ভেবে রাখাই ভাল। সেকারণে এর আগেও চারটি পৃথক রাজধানী তৈরির চিন্তা ভাবনা করছিল অন্ধ্রের জগনমোহহন সরকার।
২০১৪ সালে অন্ধ্র প্রদেশকে ভাগ করে দুটি পৃথক রাজ্য করে দেওয়া হয়। একটি তেলঙ্গানা ও দ্বিতীয়টি অন্ধ্র প্রদেশ। প্রথম পর্যায়ে হায়দরাবাদকে নিয়ে টানাপোড়েনের কারণে দুই রাজ্যের রাজধানী হিসেবেই হায়দরাবাদকে ধরে নেওয়া হয়েছিল। ১০ বছরের জন্য হায়দরাবাদ দুই রাজ্যের রাজধানী থাকার কথা ছিল। কিন্তু অল্প কিছুদিন পরেই তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু অমরাবতীকে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেন।
সেই রাজধানীকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। কিন্তু নাইডু সরকারের পতনের পর থেকেই বেআইনি নির্মাণ ভাঙা শুরু করে নতুন ক্ষমতীসীন জগনমোহন সরকার। রাজধানী নির্ধারণ নিয়ে টিডিপি এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেসের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়। অমরাবতী জুড়ে নাকি ব্যাপক বেআইনি নির্মাণ করেছেন চন্দ্রবাবু নাইডু। সেই নিয়ে বিরোধ চরমে ওঠে।
এবার তিনটি পৃথক তিনটি রাজধানীর প্রস্তাব পাশ হলে তাতে আমরাবতীর গুরত্ব কমবে। ভাঙবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর স্বপ্নও। ৩০ মে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পরেই জগনমোহন আমরাবতীতে চলতে থাকা সকল নির্মাণ কাজে স্থগিতাদেশ জারি করেন। এদিকে জগন সরকারের বক্তব্য তিনটি পৃথক রাজধানী হলে রাজ্যের তিন অঞ্চলের মানুষই এতে সন্তুষ্ট হবে।