বিপাকে পড়ে বিধান পরিষদ বিলোপের ইঙ্গিত অন্ধ্রপ্রদেশের জগন রেড্ডি সরকারের
বিপাকে পড়ে বিধান পরিষদ বিলোপের ইঙ্গিত অন্ধ্রপ্রদেশের জগন রেড্ডি সরকারের
উচ্চ কক্ষে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ নিয়ে ইতিমধ্যেই বিড়ম্বনায় পড়তে দেখা গেছে অন্ধ্রপ্রদেশের জগন রেড্ডি সরকারকে। এবার এরপরই অস্বস্তিতে পড়ে বিধানপরিষদ ভেঙে দেওয়ার ইঙ্গিত দিল অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার।
তিনটি রাজধানীর প্রস্তাব আটকে যায় বিধান পরিষদে
এই প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিধানসভায় দাঁড়িয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগন্মোহন রেড্ডিকে বিধান পরিষদ বিলোপের পক্ষে সওয়াল করতে দেখা যায়। এদিকে রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে ইতিমধ্যেই রাজ্যের তিনটি রাজধানী করার প্রস্তাব দেওয়া বিল আটকে গেছে সে রাজ্যের উচ্চ কক্ষে।
অবশেষে নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করেন বিধানপরিষদের চেয়্যারম্যান
সূত্রের খবর, এর মধ্যে দু'টি বিল, অন্ধ্রপ্রদেশ ডিসেন্ট্রালাইজেশন অ্যান্ড ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট অফ অল রিজিয়নস বিল ২০২০ এবং এপিসিআরডিএ (রিপিল) বিল ২০২০-কে ইতিমধ্যেই সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। তীব্র ধন্দ শেষে বুধবারই নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করে বিল দুটিকে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠান বিধানপরিষদের চেয়্যারম্যান।
সোমবার বিলোপ প্রস্তাব আনার ইঙ্গিত জগন রেড্ডির
এই প্রসঙ্গে এদিন জগন রেড্ডি বলেন, "যে পরিষদে শুধুমাত্র রাজনীতিই হয় সর্বদা সেই ধরনের কক্ষ আমাদের প্রয়োজন আছে কিনা সে কথাও যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে ভেবে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। যদিও বিধানপরিষদ রাখা কোনও আবশ্যিক কাজ নয়। নিজেদের সুবিধার জন্য আমরাই এটা তৈরি করেছিলাম। আমরা সবাই মিলে সোমবার এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করি এবং ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে আগামীর জন্য কোনও সিদ্ধান্ত নিই।"
ছ’টি রাজ্যে রয়েছে দুটি করে কক্ষ
এদিকে বর্তমানে আমাদের রাজ্যে আইনসভায় একটি কক্ষ অর্থাৎ বিধানসভা থাকলেও দেশের ছ'টি রাজ্যে দুটি করে কক্ষ অর্থাৎ বিধানসভা ও বিধানপরিষদ রয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশ এই রাজ্য গুলির মধ্যে অন্যতম। পাশাপাশি বিহার-উত্তরপ্রদেশেও আইনসভায় দুটি কক্ষ রয়েছে।