এক রাজ্যের চার রাজধানী, নজির গড়তে চলেছে অন্ধ্রপ্রদেশ
অমরাবতী রাজধানীর জন্য নিরাপদ নয়। এমন প্রশ্ন অনেকদিন আগে থেকেউ উঠতে শুরু করেছিল। বিশেষ করে একমাস আগেই প্রবল বর্ষণে ফুঁসে উঠেছিল কৃষ্ণা নদী। তাতে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল অমরাবতীর তা সকলেরই জানা। চন্দ্রবাবু নাইডুকে পর্যন্ত তাঁর বাড়ি ছেডে যেতে বলেছিল অন্ধ্র সরকার। অল্প বৃষ্টিতে যদি রাজধানীর এই পরিস্থিতি হয়, তাতে বিকল্প ভেবে রাখাই ভাল। সেকারণে চার চারটি রাজধানী তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্ধ্রের জগন্মোহন সরকার।

কেন চার রাজধানীর ভাবনা
অন্ধ্রপ্রদেশ যখন ভাগ হয় তখন হায়দরাবাদ নিয়ে বিস্তর টানা পোড়েন চলেছিল। অন্ধ্রপ্রদেশ কিছুতেই হায়দরাবাদকে ছাড়তে রাজি হচ্ছিল না। তেলঙ্গানাও নাছোড়। শেষ তেলঙ্গানার দাবিই বহাল থাকল। অন্ধ্র বেছে নিল পৃথক রাজধানী অমরাবতী। সেই রাজধানীকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। কিন্তু নাইডু সরকারের পতনের পর থেকেই বেআইনি নির্মান ভাঙা শুরু করে নতুন ক্ষমতীসীন জগনমোহন সরকার।

রাজধানী নিয়ে টানাপোড়েন
রাজধানী নির্ধারণ নিয়ে টিডিপি এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেসের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়। অমরাবতী জুড়ে নাকি ব্যাপক বেআইনি নির্মাণ করেছেন চন্দ্রবাবু নাইডু। সেই নিয়ে বিরোধ চরমে ওঠে। শেষে কেন্দ্রকে নাকি জগন্মোহন জানিয়ে দিয়েছেন অমরাবতীকে তিনি রাজধানী রাখতে চান না। যা নিয়ে টিডিপি প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

কোন চার শহর হচ্ছে রাজধানী
অন্ধ্রপ্রদেশের বিজেপি সাংসদ টিিজ ভেঙ্কটেশ জানিয়েছেন, অমরাবতী যে রাজধানীর গুরুত্ব হারাতে চলেছে সেকথা নাকি কেন্দ্রীয় সরকারকে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি। নতুন করে যে শহরগুলিকে তিনি রাজধানী িহসেবে গড়ে তুলতে চান তার একটি তালিকাও ৈতরি করে ফেলেছেন। বিশাখাপত্তনম, কাঁকিনড়া, গুণ্টুর এবং কাডাপা এই চারটি শহরকেই রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চান জগন্মোহন।