সাংসদের কাঁঠাল ক্ষুধার্থ চোরেরা খেয়ে নিতে পারে, প্রাথমিক তদন্তে জানাল পুলিশ
পুলিশ? কাঁঠাল চুরিতে আবার পুলিশের কী কাজ? ওমা তাহলে আর বলছি কী? সেই যে জানুয়ারি মাসে উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী আজম খানের বাড়ি থেকে মোষ চুরি গিয়েছিল। মন্ত্রীর মোষ খুঁজতে রাজ্যের প্রায় গোটা পুলিশকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তা এবার সাংসদের কাঁঠাল চুরি গিয়েছে পুলিশি তদন্ত হবে না। কী যে বলেন, কাঁঠাল বলে কী আর মোষ না!
সংযুক্ত জনতা দলের সাংসদ মাহেন্দ্র প্রসাদের ৪ তুঘলঘ রোডের বাড়ির বাগান থেকে চুরি যাওয়া কাঁঠালের খোঁজে সে মহাকাণ্ড। পুলিশ তো রীতিমতো বিশেষ তদন্তকারী দলই গঠন করে ফেলল। প্রাথমিক তদন্তের পর রহস্যভেদের অনেকটা কাছাকাছি গিয় তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়ে দিলেন, "মনে হচ্ছে দুষ্কৃতীরা ক্ষুধার্থ ছিল এবং কাঁঠাল নিয়ে গিয়ে খেয়ে নিয়েছে।" অবাক কান্ড. এত তাড়াতাড়ি 'কেস সল্ভ'!
সাংসদের বাড়ির ২টি কাঁঠাল চুরি যাওয়ায় বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন পুলিশের
কিন্তু তদন্তকারী অফিসারদের এমন অনুমানের কারণ, পুলিশ জানাচ্ছে, সাংসদের বাড়ির পরিচারকদের রীতিমতো জেরা করা হয়েছে। সদ্য রং করা দেওয়ালে জুতোর ছাপ পাওয়া গিয়েছে। কয়েকটা আঙুলের ছাপও পাওয়া গিয়েছে। এই সূত্রগুলি ধরেই এগোচ্ছে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদের পর যে তথ্য পুলিশের কাছে তুলে ধরেছেন সাংসদের পরিচারক তা অত্যন্ত ভয়াবহ। ওই পরিচারকের কথায়, "সেই সকাল থেকে টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকরা এখানে দেওয়ালের বাইরে ডেরা বেঁধে বসে ছিল। আর মাঝে মাঝেই খালি বড় বড় কাঁঠালসমেত গাছের ছবি তুলছিল। ওরা কেন এমনটা করল বুঝতে পারছি না।"
শুধু তাই নয়, সাংসদের আপ্ত সহায়কের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অপরিচিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে। এফআইআর-এ লেখা হয়েছে, ৪ নম্বর সফদরজঙ্গ বাড়ির ভিতর কাঁঠাল গাছে ৯টি কাঁঠাল ছিল। ১৭ ও ১৮ তারিখ রাতে ওর মধ্যে থেকে ২টি কাঁঠাল কোনও অজ্ঞাত ব্যক্তি চুরি করে নিয়েছে। দয়া করে মামলা দায়ের করুন।
এদিকে সাংসদের কাঁঠালের খোঁজে ঘটনাস্থলের কাছেই একটি বাজারেও ঢু মারেন তদন্তকারী অফিসাররা। সঙ্গে ছিলেন সাংসদের বিশ্বস্ত ভৃত্য। বাজারে এক ফলওয়ালা, হরেকরকম ফলের পসড়া সাজিয়ে বসেছিল। তাতে বেশ কয়েকটা কাঁঠালও ছিল।
সাংসদ
ভৃত্য
সঙ্গে
সঙ্গে
গিয়ে
তাঁকে
জিজ্ঞাসা
করে
বসলেন,
"কাঁঠালের
দাম
কত?"
ফল
বিক্রেতার
উত্তর
:
"চল্লিশ
টাকা
কিলো
বাবু।"
ভৃত্য
:
"এত
বড়
কাঁঠাল
আর
মাত্র
৪০
টাকা
কিলো।
(তদন্তকারী
অফিসারদের
দিকে
তাকিয়)
এ
নিশ্চই
চুরির
কাঁঠাল।"