কাশ্মীরে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা স্কুলগুলি দ্রুত খোলার পরিকল্পনা নিচ্ছে সরকার
দীর্ঘদিন ধরে সংঘর্ষে উত্তপ্ত জম্মু ও কাশ্মীর। দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় শিকেয় উঠেছে পঠন-পাঠন। তবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে বন্ধ থাকা স্কুলগুলি দ্রুত খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শ্রীনগর, ৪ অক্টোবর : দীর্ঘদিন ধরে সংঘর্ষে উত্তপ্ত জম্মু ও কাশ্মীর। লাগাতার বনধ, কারফিউতে নাজেহাল উপত্যকাবাসী। লাগাতার চলতে থাকা বিক্ষোভ সংঘর্ষের জেরে সাধারণ জনজীবন, ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি প্রভাব পড়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনায়। দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় শিকেয় উঠেছে পঠন-পাঠন। তবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে বন্ধ থাকা স্কুলগুলি দ্রুত খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এরমধ্যেই বিগত দুই মাসে জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় ২৫ টি স্কুলে হামলা চালানো হয়। একের পর এক স্কুল বিল্ডিংয়ে অগ্নিসংযোগ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের পরোক্ষ যোগোযোগ থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। যদিও সৈয়দ আলি শাহ গিলানি তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন।
দীর্ঘদিল স্কুল বন্ধ থাকার কারণে পড়াশোনা, বার্ষিক পরীক্ষায় সব কিছুর ক্ষতি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনর অসুবিধা চলতে থাকায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে ছাত্র-ছাত্রীরাও। পাশাপাশি একের পর এক স্কুলে অগ্নিসংযোগের ঘটনা সামনে আসতে থাকায় আতঙ্কও বেড়ে যায়। কাশ্মীরের অনেক অবিভাবকই এখন তাদের আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত।
যদিও মেহেবুবা মুফতির সরকার অতিদ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে এনে স্কুলগুলি খোলার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে কাশ্মীর সরকারকে সব ধরনের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে যত দ্রুত সম্ভব স্কুলগুলি খোলার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রের তরফে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। এর সঙ্গে প্রত্যেকটি স্কুল এবং ছাত্র- ছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মনে করা করা হচ্ছে চলতি নভেম্বর মাস থেকেই বন্ধ থাকা স্কুলগুলি খুলে যাবে।
উল্লেখ্য হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকেই উত্তপ্ত রয়েছে কাশ্মীর। এর মধ্যে কাশ্মীরের সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলিতে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে পাক সেনাদের হামলা লাগাতার চলছে। আর এই সব কিছুর মধ্যে পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যত। তাই স্কুল খুলে দ্রুত পঠল-পাঠন শুরু করে করে দিতে চাইছে সরকার।