ইতালি লকডাউনের সুবিধা তুলতে পারলেও, পারেনি ভারত! জুন, জুলাই মাস নিয়ে সতর্কবার্তা এইমস প্রধানের
ইতালি লকডাউনের সুবিধা তুলতে পারলেও, পারেনি ভারত! সংক্রমণ শিখরে যাওয়া নিয়ে সতর্কবার্তা এইমস প্রধানের
সারা দেশে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ৪০ দিনের ওপর লকডাউন চালু থাকলেও, সংক্রমণ কমার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এদিন সর্বভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকার এমনটাই জানিয়েছেন এইমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া। যদিও তিনি লকডাউনের প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রেডজোন, হটস্পট এবং সংলগ্ন এলাকাগুলিতে কড়াকড়ি জোরদার করার ওপর জোর দিয়েছেন।
চিন, ইতালি লকডাউনের সুবিধা তুলতে পারলেও, পারেনি ভারত
এইমসের ডিরেক্টর উল্লেখ করেছেন তিন, ইতালির মতো দেশ লকডাউনের একমাস পর থেকে সুবিধা তুলতে পেরেছে। কড়া ভাবে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং বজায় রাখতে পেরেছে। কিন্তু লকডাউন শুরু হওয়ার পর ৪০ দিন কেটে গেলেও ভারতে সংক্রমণ কমার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
সংক্রমণ শিখরে যেতে পারে জুন, জুলাইয়ে
এইমসের ডিরেক্টরের ভবিষ্যদ্বাণী ভারতে সংক্রমণ শিখরে যেতে পারে জুন ও জুলাইয়ের মধ্যবর্তী সময়ে। তিনি বলেছেন, বর্তমানে ভারতে সংক্রমণ বাড়ছে ফ্ল্যাট রেটে। কোনও কোনও সময় তার কিছুটা বেশি হারে বাড়ছে। তাই এটা ভবিষ্যদ্বাণী করা খুব কঠিন, কখন তা শিখরে পৌঁছবে। তবে তিনি মনে করছেন তা জুন থেকে জুলাইয়ের মধ্যে শিখরে পৌঁছতে পারে।
দেশে আরও কিছুদিন লকডাউনের প্রয়োজন
দেশে আরও কিছুদিন লকডাউন চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন তিনি। তবে এর সঙ্গে অর্থনীতি, স্বাস্থ্যের কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
টেস্টের সংখ্যা বাড়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে
একইসঙ্গে গুলেরিয়া জানিয়েছেন, আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণ হল বেশি সংখ্যায় টেস্ট হওয়া। তবে টেস্ট হওয়া মানুষের সংখ্যা আর আক্রান্তের সংখ্যা হিসেব করলে ৪ থেকে ৪.৫ শতাংশের মতো বলে জানিয়েছেন তিনি।
কন্টাইনমেন্ট স্ট্র্যাটেজি পরিবর্তনে জোর
এইমসের ডিরেক্টর বলেছেন, সব থেকে চিন্তার কারণ হল, ৪০ দিন লকডাউন চললেও, আক্রান্তের সংখ্যা নিম্নগামী হয়নি। তবে পরিস্থিতির পর্যালোচনা করার সময় কন্টাইনমেন্ট্র স্ট্র্যাটেজির পরিবর্তনের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।