মেঙ্গালুরু বিস্ফোরণে সন্ত্রাসবাদী যোগ? চাঞ্চল্যকর তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে
মেঙ্গালুরু অটো বিস্ফোরণের ঘটনায় সামনে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য! ঘটনার মূল সন্দেহভাজন মহম্মদ শারিককে ঘিরে ক্রমশ বাড়ছে সন্দেহ। তবে গোয়েন্দাদের দাবি, মহম্মদ শারিক একজন lone wolf! তবে বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ৪৫ শতাংশ
মেঙ্গালুরুতে অটো বিস্ফোরণের ঘটনায় সামনে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য! ঘটনার মূল সন্দেহভাজন মহম্মদ শারিককে ঘিরে ক্রমশ বাড়ছে সন্দেহ। তবে গোয়েন্দাদের দাবি, মহম্মদ শারিক একজন lone wolf! তবে বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ৪৫ শতাংশ শরীরের পুড়ে গিয়েছে। ফলে শারিককে জেরা করতে আরও কিছুটা সময় লাগবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
যদিও সোমবার মেঙ্গালুরুর পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের মূল অভিযুক্ত শারিক যাত্রী হিসেবে অটোতে ছিলেন।
CNN-News18-এর প্রকাশিত খবর অনুযায়ী গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, তিনি কোনও আত্মঘাতী জঙ্গি ছিলেন না। সে নিজেই শহরের একাধিক জায়গাতে বিস্ফোরণ ঘটাতে চেয়েছিলেন। এমনকি অন্য কোনও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গেও যোগ থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলেই দাবি গোয়েন্দাদের। শুধু তাই নয়, প্রকাশিত খবর অনুযায়ী গোয়েন্দারা নাকি জানতে পেরেছেন, শরিক এই পরিকল্পনার বিষয়ে কারোর সঙ্গে কথা বলেননি। এমনকি বয়ে নিয়ে বিস্ফোরক সে নিজেই তৈরি করেছিল বলে দাবি গোয়েন্দাদের। আর তা নিজেই বহন করেছিল বলেও দাবি করা হয়েছে প্রকাশিত খবরে।
যদিও পুলিশ জানাচ্ছে, শরিকের সঙ্গে আইএস-এর সঙ্গে ডার্ক ওয়েব মাধ্যমে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর যোগ ছিল। এমনকি এডিজিপি, আইন ও শৃঙ্খলা অলোক কুমার জানিয়েছেন, অভিযুক্ত শরিক দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন।
আরও জানা গিয়েছে, যেখানে শরিক থাকতেন সেখান থেকে, প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও সেখানে নাট বোল্ট ও সার্কিট পাওয়া গিয়েছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, কিছু জিনিস শরিক অনলাইনে এনেছিল। কিন্তু জিনিস অফলাইনে কিনেছিল। তবে এই বিষয়ে পুলিশ আরও তদন্ত করছে বলে জানা গিয়েছে। তদন্তে জানা গিয়েছে শরিকের প্রধান সঙ্গী ছিল আরাফত আলি।
দুটি মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে শরিক আল হিন্দ মডিউল মামলায় অভিযুক্ত মুসাভির হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। আবদুল মতিন ত্বহা শরিকের অন্যতম সহযোগী ছিল। এছাড়াও শরিকের আরও দুই-তিন জন শরিক ছিল। যাদের এখনও চিহ্নিত করা যায়নি। এই বিষয়ে তদন্ত চলছে।