'নিরাপত্তাহীন' অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নিরাপত্তায় খরচ বেড়েছে পুলিশের
ব্যাপারটা কী রকম?
দিল্লি পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার পদমর্যাদার এক অফিসার জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল যদি স্বাভাবিকভাবে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকতেন, তবে একটা নির্দিষ্ট সংখ্যক রক্ষী মোতায়েন করলেই হত। এ ধরনের ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা বলয়কে দু'ভাগে ভাগ করা হয়। বহির্বলয় এবং অন্তর্বলয়। এ ছাড়া যাতায়াতের ক্ষেত্রে থাকে কনভয়। সব ক্ষেত্রে নিরাপত্তাকর্মীর সংখ্যা নির্দিষ্ট থাকে।
পুলিশকর্তাটি বলেন, অথচ কেজরিওয়ালের ক্ষেত্রে সেটা হচ্ছে না। তিনি এখনও থাকেন গাজিয়াবাদের কৌশাম্বীতে। গাজিয়াবাদ পড়ছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এলাকায়। সেখান থেকে রোজ দিল্লি আসতে হচ্ছে তাঁকে। তিনি নিজে না চাইলেও পুলিশ তো দায় এড়াতে পারে না। কারণ, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কিছু হয়ে গেলে কাঠগড়ায় তোলা হবে পুলিশকেই। তাই যাতায়াতের গোটা রাস্তায় মোতায়েন করতে হচ্ছে সাদা পোশাকের পুলিশ। যখন জনতার মুখোমুখি হচ্ছেন তিনি, তখনও ভিড়ে মিশে থাকছে সাদা পোশাকের পুলিশ। লক্ষ্য রাখতে হচ্ছে, কেউ অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে কি না। দিল্লি এলাকায় এই কাজটা করতে হচ্ছে দিল্লি পুলিশকে। আর উত্তরপ্রদেশে করতে হচ্ছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে। ফলে, দুই জায়গায় পুলিশকে অনেক বেশি সংখ্যায়, বেশি জায়গায় নিরাপত্তারক্ষী রাখতে হচ্ছে। এ জন্য আর্থিকভাবে হতশ্রী দিল্লি পুলিশ ও উত্তরপ্রদেশ পুলিশের খরচ বেড়ে গিয়েছে অনেক। আখেরে সেই চাপ কিন্তু বহন করতে হবে আমআদমিকেই।
দিল্লি পুলিশের ওই কর্তার মন্তব্যকে সমর্থন করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের আইজি পদমর্যাদার এক অফিসার বললেন, মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজিরওয়াল যদি স্বাভাবিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘেরাটোপে থাকতেন, তা হলে এটা হত না। শনিবারের জনতা দরবারে যে বিশৃঙ্খলা হয়েছে, তাতে আশঙ্কা আরও বেড়েছে। কারণ, ভিড়ে বিশৃঙ্খলার সুযোগে দুর্বৃত্তরা খুব সহজে তাঁর প্রাণনাশের চেষ্টা করতে পারে।