'কাশ্মীরি মেয়েদের সম্মান রক্ষা আমাদের ধর্মীয় দায়িত্ব', শিখ সম্প্রদায়ের জেঠেদারের তরফে এল বার্তা
ভূস্বর্গ থেকে ৩৭০ ধারা উঠে যাওয়ার পর থেকে কাশ্মীরের মহিলাদের নিয়ে বিভিন্ন রকমের বিতর্কিত মন্তব্য উঠে আসছে দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে
ভূস্বর্গ থেকে ৩৭০ ধারা উঠে যাওয়ার পর থেকে কাশ্মীরের মহিলাদের নিয়ে বিভিন্ন রকমের বিতর্কিত মন্তব্য উঠে আসছে দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে। মূল এই ধারা অবলুপ্তির পর এখন কাশ্মীরের বাইরে পছন্দের মানুষকে সেখানের মহিলারা বিয়ে করতে পারবেন । আর এই তথ্য প্রকাশের পর থেকে গোটা দেশে কাশ্মীরি মহিলাদের বিয়ে নিয়ে গুগল সার্চ চরমভাবে ট্রেন্ড করছে। সমালোচকদের দাবি এটা উগ্র পুরুষতন্ত্রের সমান! এবার এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন শিখ সম্প্রদায়ের 'অকাল তখত'।
অকাল তখতের জাঠেদার গিয়ানি হরপ্রীত সিংয়ের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, 'ঈশ্বর সকলকে সমান অধিকার দিয়েছেন। আর ধর্ম, জাত, লিঙ্গের প্রেক্ষিতে তা নিয়ে পার্থক্য করা অপরাধ। যেভাবে কাশ্মীরি মহিলাদের নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মন্তব্য উঠে আসছে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পর, তা অপমানজনক ও ক্ষমার উর্ধ্বে।' তিনি বলেন, 'এঁরা ভুলে গেছেন যে এই মানুষগুলি কারোর মা, কারোর বোন, কারোর স্ত্রী। এই মহিলাদের সৃষ্টির ক্ষমতা রয়েছে।' এরসঙ্গেই তিনি বলেন, কাশ্মীরি মহিলাদের সুরক্ষা দেওয়া ,শিখদের ধর্মীয় দায়িত্ব কর্তব্য । আর সেই রাস্তায় তাঁরা অবিলচ থাকবেন।
প্রসঙ্গত, শিখ সম্প্রদায়ের এক দিল্লি নিবাসী ব্যক্তি কয়েকদিন আগেই মহারাষ্ট্রে আটকে পড়া ৩৪ কাশ্মীরি মহিলাকে বিভিন্ন মাধ্যমের অনুদানের সাহায্যে নিজের বাড়ি পৌঁছে দেন। এঁদের টিকি কেনার জন্য ৪ লাখ টাকার প্রয়োজন ছিল।আর সেই অর্থই অনুদানের মাধ্যমে যোগাড় করে কাশ্মীরি মেয়ে দের সাহায্যে এগিয়ে আসেন এই সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি।