১০০ কোটি হিসাবহীন অর্থ লেনদেন এবং বিনিয়োগের অভিযোগ, দুই কংগ্রেস নেতার বাড়িতে হানা ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের
Array
সম্প্রতি বাংলায় আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠেছিল বাংলায় এবার সেই একই অভিযোগ উঠল পড়শি রাজ্যে। ঝাড়খণ্ডের আইটি ডিপার্টমেন্ট হিসাবহীন অর্থ লেনদেন এবং বিনিয়োগের খোঁজ পেয়েছে। তাঁরা এই খোঁজ পেয়েছেন দুই ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেসের দুই বিধায়কের থেকে। এর পরিমান প্রায় ১০০ কোটি টাকা। এদের সঙ্গে কয়লা ও লোহা অবৈধভাবে বিক্রির যোগ রয়েছে। সারা রাজ্য জুড়ে এই কাজ চলত বলে অভিযোগ উঠছে।
সিবিডিটি বলেছে, "নভেম্বর মাসে এর জন্য খোঁজ চালানো হয় রাঁচি, বারমো, গোড্ডা, দুমকা, জামশেদপুর, পাটনা, গুরুগ্রাম এবং কলকাতায়।' এই খোঁজ চালাতে গিয়ে ধরা ধরা হয় দুই নেতাকে। যারা তাঁদেরকে ধরেন অরূপ সিং এবং প্রদীপ যাদব। জয়মঙ্গল হলেন বারমোর বিধায়ক। তিনি সংবাদমাধ্যকে বলেন যে তাঁর বাড়িরে রেড করা হয়েছে এবং তিবি সব বিষয়ে সহযোগিতা করছেন। যাদব কংগ্রেসে আসেন জেভিএম-পি থেকে। সেখানে কংগ্রেসের সঙ্গি জেএমএম।
ওই নেতাদের বাড়ি থেকে ২ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে তবে ১০০ কোটির বেশি লেনদেনের খোঁজ মিলেছে। এদিকে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তিনি বেআইনি কয়লা খনন মামলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে রায় শুনিয়েছিল ঝাড়খণ্ড আদালত। এর রায়কে চ্যালেঞ্জ করলেন হেমন্ত। তিনি ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করেছিলেন পিটিশন। সেই পিটিশন গ্রহণ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আর এতেই আপাত স্বস্তি পেলেন তিনি।
সম্প্রতি হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে কয়লা খনি সংক্রান্ত তহবিল তছরুপের অভিযোগ উঠেছিল। তা নিয়ে মামলা শুরু হয়েছিল আদালতে। তার বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। রাজ্যেরমুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেতদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল ঝাড়খণ্ডের আদালত । হাইকোর্টের রায়ের বিরোধিতা করেছিলেন হেমন্ত, যা স্বাভাবিক। সেই মামলা গ্রহণ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। পিটিশনকে স্বাগত জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। হেমন্ত সোরেন এতেই স্বস্তিতে । যে, 'সত্যমেব জয়তে', তিনি এই স্বস্তি পেয়ে টুইট করে লিখেছিলেন।
বিজেপি এই মামলা মূলত দায়ের করেছিল ।সরকার ফেলে দেওয়া লক্ষ্য । কোনওভাবে মুখ্যমন্ত্রির নামে এই কেচ্ছা। তাঁরা তাই সেই পথে বেছে নেয়। হেমন্তের এমন গুরুতর অভিযোগের জন্য বিধায়ক পদ খারিজ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছিল । ইডি সমন পাঠিয়েছিল বেআইনিভাবে খনি খাদান লিজ নেওয়ার মামলায় তাঁকে । বৃহস্পতিবার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে রাঁচিতে ইডির দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল । তিনি ইডির সমন উপেক্ষা করেই হাজিরা এড়িয়ে যান ।