বিজেপি ও আরএসএস-এর পক্ষে ফেসবুক! রাহুলের অভিযোগের কড়া সমালোচনায় রবিশঙ্কর প্রসাদ, জবাব ফেসবুকেরও
ফেসবুক নিয়ে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের জবাব দিলেন তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। প্রসঙ্গত রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছিলেন ফেসবুক বিজেপি ও আরএসএস-এর পক্ষ নিচ্ছে।
ফেসবুক নিয়ে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের জবাব দিলেন তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। প্রসঙ্গত রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছিলেন ফেসবুক বিজেপি ও আরএসএস-এর পক্ষ নিচ্ছে। ফেসবুকের তরফ থেকেও অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
সোশ্যাল মি়ডিয়া নিয়ে রাহুল গান্ধীর অভিযোগ
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছেন, বিজেপি ও আরএসএস ভারতে ফেসবুক ও হোয়াসটঅ্যাপ নিয়ন্ত্রণ করে। তারা ভুয়ো খবর এবং ঘৃণা ছড়ায়। পাশাপাশি ভোটারদের প্রভাবিত করতেও তা ব্যবহার করা হয়। আমেরিকার মিডিয়া ফেসবুকের আসল সত্য প্রকাশ করে দিয়েছে।
যৌথ সংসদীয় কমিটিকে দিয়ে তদন্তের দাবি অজয় মাকেনের
অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন, রাহুল গান্ধীর অভিযোগ নিয়ে তদন্তের দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, তদন্তের জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন করা হোক। নির্বাটনের সময় হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুক বিজেপিকে সাহায্য করে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হোক। ফেসবুকেরও উচিত ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত খবর নিয়ে তদন্ত করা।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের প্রতিক্রিয়া
রাহুল গান্ধীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। হেরে যাওয়া দল মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে না। কটাক্ষ করে তিনি বলেন, সারা পৃথিবীকে নিয়ন্ত্রণ করছে বিজেপি ও আরএসএস। তিনি আরও অভিযোগ করেন, ভোটের আগে কংগ্রেসকে হাতে নাতে ধরা হয়েছিল কেম্ব্রিজ অ্যানালিটিকা এবং ফেসবুকের সঙ্গে ষড়যন্ত্রের জন্য। এখন তারাই প্রশ্ন তুলছে।
তিনি আরও দাবি করেন, তথ্যের অধিকার আর মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে গণতান্ত্রিক করা হয়েছে।
ফেসবুকের প্রতিক্রিয়া
বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ফেসবুকও। তারা হিংসাকে উসকে দেওয়া এবং ঘৃণার বক্তৃতাকে নিষিদ্ধ করেছেন। তারা এই নীতি নিয়েছে বিশ্ব জুড়েই। কোনও রাজনৈতিক দলের আনুগত্য ছাড়াই।