ফেসবুক-গুগল ইনস্টার কমপ্লায়েন্স রিপোর্টে খুশি মোদী সরকার!
তথ্য প্রযুক্তি আইন মেনে প্রথম কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট জমা দিয়েছে গুগল, ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামের মতো সংস্থা। সংস্থাগুলির এই পদক্ষেপের প্রশংসা করলেন তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তাঁর মতে, স্বচ্ছতার পথে এটাই প্রথম পদক
তথ্য প্রযুক্তি আইন মেনে প্রথম কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট জমা দিয়েছে গুগল, ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামের মতো সংস্থা। সংস্থাগুলির এই পদক্ষেপের প্রশংসা করলেন তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ।
তাঁর মতে, স্বচ্ছতার পথে এটাই প্রথম পদক্ষেপ।
নতুন আইন অনুযায়ী, প্রত্যেক মাসে ওই সংস্থাগুলিকে কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
গুগল, ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামের প্রশংসায় মন্ত্রী
রবিশঙ্কর প্রসাদ টুইট করেছেন, গুগল, ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামের মতো সংস্থাগুলি যে ভাবে তথ্য প্রযুক্ত আইন মানছে, তা প্রশংসনীয়। তাদের জমা করা প্রথম কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট স্বচ্ছতার দিকে প্রথম পদক্ষেপ। তবে গুগল, ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামের এই রিপোর্ট সংঘাত আরও বাড়িয়ে দিল টুইটারের সঙ্গে। এই সংস্থা সরকারে তথ্য প্রযুক্তি নীতি না মানতে চাওয়ায় সংঘাত বেড়েছে। এমনকি সংঘাতের জেরে রক্ষাকবচও হারিয়েছে টুইটার।
কয়েক হাজার কনটেন্ট উড়িয়ে দিয়েছে 'কু'
কয়েক হাজার কনটেন্ট উড়িয়ে দিয়েছে 'কু। ৫৪,২৩৫ টি কনটেন্ট ও ৫,৫০২ টি পোস্ট উড়িয়ে দিয়েছে কু। সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার রুখতে এই আইটি নীতি এনেছে কেন্দ্র। প্রত্যেক মাসে কত কনটেন্ট ওড়ানো হয়েছে, কেন ওড়ানো হয়েছে, তা জানাতে হবে কেন্দ্রকে।
৩ কোটি কনটেন্ট সরিয়ে দিয়েছে ফেসবুক
তিন কোটি কনটেন্ট মুছে ফেলেছে ফেসবুক। এর মধ্যে রয়েছে কনটেন্ট, ইউআরএল, প্রোফাইল এবং পেজ। ফেসবুক জানিয়েছে, ১৫ মে থেকে ১৫ জুনের মধ্যেকার ৩ কোটি কনটেন্ট তারা মুছে দিয়েছে। এর মধ্যে আড়াই কোটি স্প্যামও রয়েছে। রয়েছে ২৫ লক্ষ পোস্ট যা হিংসাত্মক বলে চিহ্নিত করা হয়, ১৮ লক্ষ পোস্ট যৌনতা সংক্রান্ত ও তিন লক্ষের বেশি পোস্টকে উস্কানিমূলক বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। আত্মহত্যার প্রবণতা বা জঙ্গি সংগঠনের প্রচার সংক্রান্ত পোস্টও মুছে ফেলেছে মার্ক জুকারবার্গের সংস্থা।
টুইটারের সঙ্গে সংঘাত
কেন্দ্রের নয়া ডিজিটাল আইন নিয়েই মূলর কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাত টুইটারের। অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা মেনে নিলেও টুইটার কেন্দ্রের নয়া ডিজিটাল আইন মানতে রাজি নয়। সংঘাতের পর ডিজিটাল আইন মানতে রাজি হয়েছে এই মার্কিন সংস্থা। কিন্তু তারপরেও গ্রিভেন্স অফিসারের তথ্য না আসায় টুইটারের আইনি রক্ষাকবচ তুলে নেয় কেন্দ্র।