IIT-তে ভর্তির জন্য একজন দলিত ছাত্রকে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে এটা লজ্জাজনক, বলল SC
IIT-তে ভর্তির জন্য একজন দলিত ছাত্রকে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে এটা লজ্জাজনক, বলল SC
দেশের অন্যতম প্রসিদ্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউশন অফ টেকনোলজি। প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ ছাত্র প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পাওয়ার জন্য। অধিকাংশেরই সাধ থাকে, সাধ্য থাকে না। তবে এক্ষেত্রে বিষয়টা সম্পূর্ণ বিপরীত। দলিত সন্তান প্রিন্স জয়বীর সিং নিজের ক্ষমতায় আসন দখল করেছিলেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের, কিন্তু হলে হবে কী? ভর্তি হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ নেই তাঁর কাছে। কাজেই এবার তাঁর ভর্তির ব্যবস্থা করে দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
মাত্র সতেরো বছর বয়স জয়বীরের। ছেলেবেলা থেকেই পড়াশোনায় তুখোড় সে। উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের বাসিন্দা জয়বীর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছিল আইআইটি বোম্বেতে । কিন্তু পড়তে গেলে তাঁকে অনলাইন মাধ্যমে পাঠাতে হত ১৫ হাজার টাকা৷ এই পরিমাণ অর্থ ছিল না জয়বীরের পরিবারের কাছে। প্রথমেই শুরু হল টাকা জোগাড়ের কাজ। দিদির কাছ থেকে সাহায্য চেয়ে জোগাড়ও করে ফেলেছিল সেই অর্থ। কিন্তু বিধি বাম! ওয়েবসাইটের প্রযুক্তিগত সমস্যার জেরে দিতে পারেনি সেই অর্থ। জয়বীর বলে, 'দিদির সাহায্য নিয়ে টাকা জোগাড় করলাম। কিন্তু তারপরেও সেটা পাঠাতে সমস্যা হচ্ছিল। আমি আইআইটি খড়গপুরেও গেছিলাম যাতে ওই অর্থ দেওয়া যায়।'
এরপরেই সে দ্বারস্থ হয় বোম্বে আদালতের। তবে বোম্বে আদালত তাঁর আবেদনে সাড়া দেয়নি। অগত্যা যেতে হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের দরবারে। সেখানেই সুবিচার পায় জয়বীর। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, 'এই ছাত্রের জন্য একটি অতিরিক্ত আসনের বন্দোবস্ত করা হোক। খেয়াল রাখা হোক যাতে এর জন্য বাকি কোনও ছাত্রের ভর্তিতে সমস্যা না হয়। এই দলিত ছাত্রটি আরেকটু হলে আইআইটি বোম্বেতে পড়ার সুযোগ হারাতে বসেছিল। যদি শুধুমাত্র ফিজ না দেওয়ার জন্য সেই সুযোগ থেকে এ বঞ্চিত হয়, এবং সুপ্রিম কোর্টের দরজা থেকে খালি হাতে ফেরে। তবে তা এককথায় বিচারব্যবস্থার কাছে বিড়ম্বনার ঘটনাই হবে।'
যথারীতি সুবিচার পেয়ে খুশি জয়বীরও। সে বলে, ' ঈশ্বর আমাদের প্রার্থনা শুনেছেন। হত ক'সপ্তাহ ধরে প্রচণ্ড মানসিক চাপে ছিলাম আমি। সুপ্রিম কোর্টই আমাদের শেষ ভরসা ছিল।'