চন্দ্রযান–২ এর ছবি প্রকাশ করল ইসরো, চাঁদের পথে যাত্রা শুরু ১৫ জুলাই
অবশেষে প্রকাশ্যে এলো ইসরোর চাঁদ অভিযানের প্রস্তুতির ছবি। চন্দ্রযান—২ এর ছবি প্রকাশ করে ইসরো বোঝালো তারা প্রস্তুত।
অবশেষে প্রকাশ্যে এলো ইসরোর চাঁদ অভিযানের প্রস্তুতির ছবি। চন্দ্রযান-২ এর ছবি প্রকাশ করে ইসরো বোঝালো তারা প্রস্তুত। আগামী ১৫ জুলাই রাত দুটো বেজে ৫১ মিনিটে মহাকাশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে চন্দ্রজান-২। বুধবার ইসরোর চেয়ারম্যান কৈলাশবাদিভো শিবা সাংবাদিক বৈঠকে ছবিটি প্রকাশ করে বলেন, সব প্রস্তুতি প্রায় শেষে পথে। আশা করা হচ্ছে সাফল্যের সঙ্গেই এগোবে এই চন্দ্রযান।
মহাশূন্যে পাড়ি দিয়ে চাঁদের মাটি ছোঁবে ২০১৯ সালেরই ৬ অথবা ৭ সেপ্টেম্বর। চাঁদে পৌঁছে চন্দ্রযান সেখানের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে কাজ শুরু করবে। সেটা করতে একদিন সময লাগবে। এর পর গবেষণামূলক কাজ শুরু করে দেবে চন্দ্রযানের দুই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ল্যান্ডার ও রোভার। ইসরোর মহাকাশ গবেষণা বিভাগে বসেই ল্যান্ডার ও রোভারের সংগ্রহ করা তথ্য পেয়ে যাবেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা।
মোট ৮০০ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করা হয়েছে এটি। এর তিনটি মডিউল রয়েছে, ল্যান্ডার, রোভার ও অরবিটার। তবে অরবিটার ছাড়া অন্য দুই মডিউলের দেশিয় নামও রয়েছে, ল্যান্ডারকে বলা হচ্ছে বিক্রম এবং রোভারকে বলা হচ্ছে প্রজ্ঞান। প্রাক্তন ইসরো চেয়রাম্যান তথা ভারতীয় মহাকাশ গবেষণার অন্যতম পুরোধা বিক্রম সারাভাইকে সম্মান জানিয়েই ল্যান্ডারের নাম বিক্রম। অরবিটের তত্ত্বাবধানেই থাকছে ল্যান্ডার, রোভার।
সাধারণত চন্দ্রযান-২ এর মধ্যে থাকা ল্যান্ডার মডিউলেই অবস্থান করছে রোভার। চাঁদের মাটিতে গিয়ে কাজ শুরু হলেই সে সঠিক সময়ে আত্মপ্রকাশ করবে, একইসঙ্গে নিজের কাজও সম্পূর্ণ করবে। চাঁদে পৌঁছানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই অরবিটার থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে হালকা চালে চাঁদের মাটি ছোঁবে ল্যান্ডার। তারপর গবেষণা কেন্দ্র থেকে নির্দিষ্ট করে দেওয়া এলাকাতাই কাজ শুরু করবে সে। চাঁদের দক্ষিণাংশের প্রকৃতি বিশ্লেষণ করাই ল্যান্ডারের কাজ। একইভাবে চাঁদের উপরিভাগ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য ইসরো-তে পাঠানোর দায়িত্ব রোভারের।
২০০৮-এর ২২ অক্টোবর চন্দ্রযান-১-কে মহাকাশে পাঠিয়েছিল ইসরো। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে যাত্রা শুরু হয়েছিল। ভারত চাঁদে যান পাঠালেও মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা কিন্তু চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানোর পরিকল্পনা করছে।