দ্বিতীয়বার চন্দ্রাভিযান করে ২০১৯ সালেই চাঁদের বুকে নতুন রূপকথা লিখবে ভারত
দ্বিতীয়বার চন্দ্রাভিযান করতে চলেছে ভারত। ইসরো ২০১৯ সালের প্রথম ভাগেই চন্দ্রযান ২ পাঠাতে চলেছে চাঁদে।
দ্বিতীয়বার চন্দ্রাভিযান করতে চলেছে ভারত। ইসরো ২০১৯ সালের প্রথম ভাগেই চন্দ্রযান ২ পাঠাতে চলেছে চাঁদে। প্রথমে ঠিক হয়েছিল জানুয়ারিতেই উৎক্ষেপণ করা সম্ভব হবে। তবে এখন তা কিছুটা পিছিয়ে গিয়েছে। ফেব্রুয়ারির শেষদিকে ভারত ফের এক নয়া রেকর্ড গড়তে পারে বলে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
এক ইসরো আধিকারিক পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারিতেই চন্দ্রযান ২ মিশন সম্পূর্ণ হতে পারে। তবে কোনও দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি।
এই চন্দ্রযানটি পুরোপুরি ভারতীয় পদ্ধতিতে তৈরি। এতে রয়েছে একটি অরবিটার, ল্যান্ডার ও রোভার। এই অভিযানটি বিভিন্ন প্রযুক্তির ব্যবহার এবং পরীক্ষা করবে এবং নতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা পরিচালনা করবে। চাকাযুক্ত রোভার চন্দ্রপৃষ্ঠে চলাফেরা করবে এবং সেই স্থানের রাসায়নিক বিশ্লেষণ করবে। রোভার সমস্ত তথ্য চাঁদের কক্ষপথে থাকা চন্দ্রযান ২ এর মাধ্যমে পৃথিবীতে পাঠাবে।
চন্দ্রের কক্ষপথের ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছে চন্দ্রযান ২ থেকে ইসরোয় সঙ্কেত পৌঁছবে। সেইসময় রোভারটি অরবিটার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। তারপরে ধীরে ধীরে ল্যান্ডারটি চাঁদের পৃষ্ঠে নামবে। সময় নিয়ে চাঁদে নামার পরে ছয় চাকার রোভারটি কাজ শুরু করবে। সেমি-অটোনমাস অবস্থায় চন্দ্রযানটি চাঁদের মাটিতে প্রদক্ষিণ করবে। চাঁদের মাটির তথ্য পর্যালোচনার জন্য ছবি পাঠানো হবে। চন্দ্রযানটির ওজন ৩৯২০ কেজি। চাঁদের আবহাওয়া, খনিজ, চন্দ্রপৃষ্ঠের নানা ছবি ও তথ্য ইত্যাদি এটি ইসরোকে পাঠাতে থাকবে।
[আরও পড়ুন:চাঁদের অদেখা অংশে পৌঁছে গেল চিন! প্রকাশ্যে বিরল ছবি ]
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে ভারত প্রথমবার চন্দ্রযান অভিযান করে। ২০০৩ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ীর সরকারের আমলে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। ১৩০০ কেজির কিছু বেশি ওজনের চন্দ্রযানটি তৈরি করে পাঠাতে সেইসময় খরচ পড়েছিল ৩৮৬ কোটি টাকা। পৃথিবীতে চতুর্থ দেশ হিসাবে চন্দ্রযান পাঠিয়ে রেকর্ড গড়েছিল ভারত। ২ বছর মহাকাশে থাকার কথা থাকলেও নয় মাস পরে চন্দ্রযানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যদিও ইসরোর এই সাফল্যকে সারা বিশ্ব কুর্ণিশ করেছিল। এবার সেই সাফল্যকেই পাথেয় করে দ্বিতীয় অভিযানে নামতে চলেছে ইসরো।