লালকেল্লা থেকে ঘোষণা 'মিশন গগনযান ২০২২'-এর, কতটা তৈরি ইসরো
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন ২০২২ সালের মধ্যে এক ভারতীয়কে পাঠানো হবে মহাকাশে। ইসরো-র চেয়ারম্যান দাবি করেছেন যে তারা এই লক্ষ্য পূরণের জন্য প্রস্তুত। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্যপূরণ করাটা তাদের
লালকেল্লা থেকে স্বাদীনতা দিবসের দিন প্রধানমন্ত্রী মোদী ঘোষণা করে দিয়েছেন ২০২২ সালে ভারত মানুষ পাঠাবে মহাকাশে। সেই ঘোষণা মোটেই কথার কথা নয় বলে জানিয়েছেন ভারতের মহাকাশ গবেষমা কেন্দ্র ইসরোর চেয়ারনম্যান কে শিবান। তিনি বলেন, এই প্রকল্পের কাজ অনেকদূর এগিয়ে গিয়েছে এবং লক্ষ্যে পৌঁছতে এখন নানান নয়া প্রযুক্তির পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।
বুধবার স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে লালকেল্লা থেকে প্রদানমন্ত্রী মোদী জানান, ২০২২ সালে কোনও ভারতীয় পুরুষ বা মহিলা 'গগনযান'-এ চড়ে মহাকাশে পারি দেবেন। সেই প্রসঙ্গে কে শিবান জানান, 'প্রধানমন্ত্রী আমাদের সামনে ২০২২-এর লক্ষ্যমাত্রা দিয়ে দিয়েছেন, আমাদের কর্তব্য তা পূরণ করা। আমরা ইতিমধ্য়েই এই কাজে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছি, এবং 'ক্র্যু মডিউল এস্কেপ সিস্টেম'-এর মতো অনেক নতুন প্রযুক্তির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন আমাদের লক্ষ্যমাত্রাকে অগ্রাধিকার দিয়ে সেখানে পৌঁছতে হবে।'
(আরও পড়ুন - '২০২২ এর মধ্যে মহাকাশে উড়বে ভারতের পতাকা', লালকেল্লা থেকে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর)
এখনও
পর্যন্ত
রাশিয়া,
আমেরিকা
ও
চিনই
মহাকাশে
মানুষ
পাঠাতে
সক্ষম
হয়েছে।
ভারত
চতুর্থ
দেশ
হিসেবে
এই
সাফল্য
অর্জন
করতে
চাইছে।
তবে
২০২২
সালে
ডেনমার্কও
মহাকাশে
মানুষ
পাঠাবে
বলে
পরিকল্পনা
করেছে।
মহাকাশে
মানুষ
পাঠানোর
ক্ষেত্রে
সবচেয়ে
বড়
বাধা
তাকে
পৃথিবীতে
ফিরিয়ে
আনা।
পৃথিবীর
বায়ুমন্ডলে
প্রবেশ
করলেই
মহাকাশযানগুলি
বায়ুর
সঙ্গে
ঘর্ষণে
প্রবল
উত্যপ্ত
হয়ে
ওঠে।
এই
তাপকে
সহ্য
করার
মতো
প্রযুক্তি
তৈরিই
মহাকাশে
মানুষ
পাঠানোর
ক্ষেত্রে
সবচেয়ে
বড়
চ্যালেঞ্জ।
(আরও পড়ুন - 'মহাকাশ অভিযান' নিয়ে মোদীর মন্তব্য প্রসঙ্গে কোন বার্তা দিল এই কার্টুন)
২০০৭ সালেই ভারত এই 'রি-এন্ট্রি' প্রযুক্তির প্রথম পরীক্ষাটি করেছিল। ৫৫০ কেজি ওজনের একটি উপগ্রহকে মহাকাশে পাঠিয়ে ১২ দিন পর আবার তাকে সফলভাবে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। এই বাধা টপকানোর পরই দ্রুত এগিয়েছে মহাকাশে মানুষ পাঠানোর কাজ।
(আরও পড়ুন - মহাকাশে মানুষ পাঠানোর দিকে আরও এক পা বাড়াল ভারত, সফল হল প্রথম ক্রু এস্কেপ পরীক্ষা)
মহাকাশবিজ্ঞানী তুষাড় যাদব জানিয়েছেন এখন তাঁদের দরকার একটি বৃহতাকার রকেট। সেই সঙ্গে সম্ভাব্য মহাকাশচারীদের ট্রেনিং দেওয়ার কাজও করতে হবে। তিনি জানিয়েছেন ডেডলাইন রক্ষা করাটা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়।