মহাকাশে মানুষ পাঠানোর দিকে আরও এক পা বাড়াল ভারত, সফল হল প্রথম ক্রু এস্কেপ পরীক্ষা
ইসরো বৃহস্পতিবার সফলভাবে ভারতের হিউম্যান স্পেস প্রোগ্রামের জন্য প্রথম ক্রু এস্কেপ পরীক্ষা পরিচালনা করল।
মহাকাশে মানুষ পাঠানোর দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল ভারত। বৃহস্পতিবার সফলভাবে একটি মানববাহী মহাকাশ ক্যাপসুলের পরীক্ষা করল ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো। শ্রীহরিকোটায় এই পরীক্ষা চালানো হয়। মহাকাশ অভিযানে কোনও বিপদ ঘটলে, মহাকাশযাত্রী যাতে নিরাপদে বেরিয়ে আসতে পারেন, তারই পরীক্ষা হল আজ।
পরীক্ষায় অবশ্য কোনও মানুষকে পাঠানো হয়নি। পাঠানো হয়েছিল পূর্ণবয়স্ক মানুষের একটি মডেল। সেই মডেল-সহ ক্যাপসুলটিকে যুক্ত করা হয় একটি রকেট ইঞ্জিনের সঙ্গে। সকাল সাতটায় সেই রকেট ইঞ্জিন-সহ ক্যাপসুলটি রওণা হয়। সলিড মোটর ইঞ্জিন চালু হতেই ইঞ্জিনটি থেকে ক্য়াপসুলটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। খুলে যায় প্যারাসুট। ২৫৯ সেকেন্ড পর ক্যাপসুলটি বঙ্গোপসাগরের একটি নির্দিষ্ট স্থানে এসে নামে।
ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবান জানিয়েছেন ভারতের দেশীয় হিউম্যান স্পেস প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষাটি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানুষকে মহাকাশে পাঠানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল মহাকাশচারীর নিরাপত্তা। সেই বিষয়টি সুনিশ্চিত করারই পরীক্ষা ছিল আজ। মহাকাশ অভিযানে মূল মহাকাশ যানে কোনও সমস্যা দেখা দিলে মহাকাশচারী 'প্য়াড অ্যাবর্ট' নামে এই ক্য়াপসুলটির মারফত নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরতে পারবেন।
এরপর ফ্লাইট মোডে অর্থাৎ চলন্ত মহাকাশযান থেকে ক্যাপসুলটি সফলভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পৃথিবীতে নামতে পারছে কিনা তার পরীক্ষা হবে। কে শিবান আরও জানান, ধাপে ধাপে মানুষকে মহাকাশে পাঠিয়ে আবার তাকে নিরাপদে পৃথিবাতে ফিরিয়ে আনার জন্য যা যা জরুরী - অবিরাম অক্সিজেনের জোগান, চাপ ও অন্য়ান্য পরিবেশগত বিষয়গুলির নিয়ন্ত্রণ বর্জ পদার্থ নির্গমণ ক্রু প্রোটেকশন সিস্টেম, সবেরই পরীক্ষা করা হবে।
তারপরই রাশিয়া, আমেরিকা, চিনের পর বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে দেশীয় প্রযুক্তিতে মহাকাশে মানুষ পাঠাবে ভারত। এর আগে আমেরিকার মহাকাশচারীদের সঙ্গে ১৯৬২ সালে মহাকাশে গিয়েছিলেন ভারতের নভশ্চর রাকেশ শর্মা। ২০০৬ সালে ভারত হিউম্যান স্পেস প্রোগ্রামের সূচনা করে। এই অভিযানের অন্যতম প্রস্তাবক ছিলেন রাকেশ।