মোদীর সফর নিয়ে আগ্রহী ইজরায়েলও, তবে পিছু ছাড়ছে না চিন
মঙ্গলবার থেকে তিন দিনের ইজরায়েল সফরে প্রধানমন্ত্রী, সন্ত্রাসদমন ও প্রতিরক্ষা নিয়ে একাধিক চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা। প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর ইজরায়েল সফর।
মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তিন দিনের ইজরায়েল সফর। প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাঁর এই সফরকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। তাঁর এই সফর দুই রাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে বলেই আশাপ্রকাশ করেছেন মোদী।
২০০৬ সালে একবার ইজরায়েল সফরে গিয়েছিলেন মোদী, তবে সেবার গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে। সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইজরায়েল সফরে যাচ্ছেন। ভারত তাদেরকে অনেকটা রক্ষিতার মতই দেখে বলে অনেকদিনের অভিযোগ ছিল ইজরায়েলের। প্যালেস্টাইন নিয়ে ইজরায়েলের দ্বন্দ্বের কারণে ইজরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ককে নিয়ে কোনওদিনই খুব একটা মাতামাতি করেনি ভারত। অথচ প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে সেই ১৯৬০ সাল থেকেই ভারত পাশে পেয়ে আসছে ইজরায়েলকে। অবশ্য় প্রতিরক্ষা নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে ৯০-এর দশকে। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পরই অস্ত্র ও সামরিক শক্তি নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করে ভারত। তখন এগিয়ে আসে ইজরায়েল।
তবে ভারত - ইজরায়েল সম্পর্ক নিয়ে বলতে গেলেও সেই চিনের প্রসঙ্গ উঠে আসবেই। কারণ ভারতের পাশাপাশি চিনের সঙ্গেও ইজরায়েলর সখ্য়তা কম নয়। একটা সময়ে ছিল বা বলা ভাল ঠাণ্ডা যুদ্ধের সময়ে প্যালেস্টাইন নিয়ে ইজরায়েলর প্রতি খুব একটা সন্তুষ্ট ছিল না ভারত, চিন দুই রাষ্ট্রই। কিন্তু কমিউনিস্ট ব্লক ভেঙে পড়ার পরই ১৯৯২ সালে ইজরায়েলের কাছাকাছি আসে দুই দেশ। অবশ্য ইজরায়েলের সামরিক শক্তি প্রমাণিত হওয়ার পরই ভারত ও চিনের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আরও মজবুত হয়। সেক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মধুর করতে কম আগ্রহী ছিল না ইজরায়েলও।
বর্তমানে
ইজরায়েল
শুধুমাত্র
মিসাইল,
ড্রোন
বা
নজরদারী
চালানোর
ক্ষেত্রে
গুরুত্বপূর্ণ
সহযোগী
তা
নয়,
ভারতীয়
সংস্থাগুলির
সঙ্গে
প্রযুক্তির
আদান-প্রদানেও
সমান
আগ্রহী।
আর
এখানেই
বাজিমাৎ
করতে
চান
প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র
মোদী।
শুধুমাত্র
ভারতীয়
সেনাবাহিনীকে
উন্নত
করাই
নয়,
ইজরায়েলের
সঙ্গে
হাত
মিলিয়ে
একটি
বিশ্বমানের
প্রতিরক্ষা
শিল্প
গড়ে
তুলতেও
চাইছেন
মোদী।
সেইসঙ্গে
বিজ্ঞান
ও
প্রযুক্তি
ক্ষেত্রেও
ইজরায়েলের
সঙ্গে
একাধিক
চুক্তি
স্বাক্ষর
করবেন
বলে
মনে
করা
হচ্ছে।
তবে
প্যালেস্টাইনের
বিষয়টিও
যে
একেবারে
এড়িয়ে
যাওয়া
হবে
না
তা
নিজেই
জানিয়েছেন
প্রধানমন্ত্রী।