ISI-এর টার্গেটে অসম! ধারাবাহিক নাশকতা চালানোর ছক প্রকাশ্যে আসতেই হাই-অ্যালার্ট রাজ্যে
উৎসবের মরশুমকে টার্গেট করতে পারে জঙ্গিরা। একাধিক রাজ্যে নাশকতা চালাতে পারে পাক জঙ্গিরা। গত কয়েকদিন আগেই এমনটাই সতর্কবার্তা দেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা আধিকারিকরা। সেই মতো সমস্ত রাজ্যগুলিকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করার নির্দেশ
উৎসবের মরশুমকে টার্গেট করতে পারে জঙ্গিরা। একাধিক রাজ্যে নাশকতা চালাতে পারে পাক জঙ্গিরা। গত কয়েকদিন আগেই এমনটাই সতর্কবার্তা দেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা আধিকারিকরা। সেই মতো সমস্ত রাজ্যগুলিকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়। আর সেই মতো উৎসবের মরশুম ভালো ভাবেই কেটেছে।
কিন্তু আশঙ্কা কাটছে না। সূত্রের খবর, অসমে বড়সড় নাশকতা চালাতে পারে জঙ্গিরা। শুধু সে রাজ্যে নয়, দেশের অন্যান্য রাজ্যও এই মুহূর্তে জঙ্গিদের টার্গেটে। আর এই মর্মে রাজ্যে হাই অ্যালার্ট জারি করল অসম পুলিশ।
জানা গিয়েছে, অসম জুড়ে বড়সড় নাশকতা চালাতে পারে জঙ্গিরা। আর এই মর্মে ছক কষেছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। পাক গুপ্তচর সংস্থার তৈরি ছকেই অসম জুড়ে ধারাবাহিক নাশকতা চালাতে পারে জঙ্গিরা। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে অসম পুলিশের।
আর এই তিথ্য হাতে পাওয়ার পরেই রাজ্যজুড়ে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বিশেষ করে আরএসএস ক্যাডার, সেনাবাহিনী এলাকা, জমায়েত জঙ্গিদের টার্গেট হতে পারে বলে আশঙ্কা। শুধু তাই নয়, অশান্তি তৈরি করতে ধমীয় স্থানগুলিতেও জঙ্গিরা নাশকতা চালাতে পারে বলে ঘুম উড়িয়ে দেওয়ার মতো রিপোর্ট হাতে এসেছ অসম পুলিশের।
জানা গিয়েছে, শুধু গোয়েন্দা সূত্রের খবরই নয়, আল-কায়েদার প্রকাশ করা একটি ভিডিয়ো বার্তার কথাও উল্লেখ করেছে পুলিশ। সেই ভিডিয়ো বার্তায় অসম ও কাশ্মীরে জিহাদের ডাক দিয়েছে আল-কায়েদা। কোনও ধরনের জঙ্গি হামলা রুখতে সব রকমের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে সে রাজ্যের পুলিশ কমিশনার, কোকরাঝাড়ের ডিজি পি ও অসমের এডিজিপি কে।
সব জেলার পুলিশকে সতর্ক করা হয়েছে। আর এই তথ্য হাতে আসার পরেই অসম জুড়ে নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। জঙ্গিদের সহজেই টার্গেট গতে পারে এমন এলাকাগুলিতে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। পাশাপাশি অন্যান্য রাজ্যগুলিকেও হাই অ্যালার্ট থাকতে বলা হয়েছে। নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মাসখানেক আগে বড়সড় একটা নাশকতার ছক ভেস্তে দেয় দিল্লি পুলিশ। কয়েকদন সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গেয়েন্দাদের কাছে নির্দিষ্ট সূত্র অনুযায়ী খবর আসতেই ২৮ বছরের জিশান কামার সহ একাধিক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে একাধিক নথি উদ্ধার হয়।
যেখান থেকে কার্যত স্পষ্ট যে ওই যুবকরা ভারতে নাশকতা চালাতেই এসেছিল। তাঁদের জেরা করে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পান তদন্তকারী আধিকারিকরা।
জেরায় ওই যুবকরা জানায় যে, করাচির বুকে বসে পাকিস্তানি জঙ্গি মডিউল উৎসবের মরশুমে করোনা আবহে ভারতের তামাম বড় শহরে পর পর বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করেছে। এরপরেই উচ্চ পর্যায়ে খোঁজখবর শুরু হয়। আর এরপরেই কার্যত নিশ্চিত যে পাক গুপ্তচর সংস্থা ISI ভারতে বিস্ফোরক ছক কষেছে।