সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে আইএসআই কাশ্মীরে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছ
সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে আইএসআই কাশ্মীরে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছ
আইএসআই নিজেদের উদ্দেশ্য সাধন করতে সোশ্যাল মিডিয়ার গোপনীয়তাকে ভেঙে, সুরক্ষিত টেলিযোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে এবং অনলাইন ম্যাপিং প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে জিহাদি প্রচার করছে অথবা কাশ্মীরের জঙ্গি কার্যকলাপকে সরাসরি সমর্থন করছে। যেখানে আইএসআইয়ের ভারত–বিরোধী দলগুলিকে সমর্থন করার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। বুধবার এমনটাই জানিয়েছেন সন্ত্রাসবাদী ও আভ্যন্তরীণ সুরক্ষা সংক্রান্ত মার্কিন বিশেষজ্ঞ পিটার চক।
পিটার চক এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য করতে গিয়ে জানান পাকিস্তান সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভারতীয় অর্থনীতির ওপর হামলা করার চক্রান্ত করছে। র্যান্ড কর্পোরেশন বিশেষজ্ঞ জানান, পাকিস্তানের সঙ্গে মোকাবিলা করার সেরা আক্রমণাত্মক ব্যবস্থাটি হল ইসলামাবাদকে চাপে রাখার জন্য ভারতের উচিত বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলির সঙ্গে কাজ করা এবং সেইসব দেশগুলিকে বোঝানো যে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসী হামলার শিকার তারাও হতে পারে।
পিটার চক আরও জানান যে, আফগানিস্তানের কৌশলগত আগ্রহের কারণে আমেরিকা পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বৈত ভূমিকা পালন করছে। সেই কারণে মার্কিন প্রশাসন এখনও ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেয়নি। তিনি জানান যে পাকিস্তানের আক্রমণ রোধ করতে ড্রোন ও নেকড়ে বাঘ দিয়ে আক্রমণ করানো হোক। এই ধরনের প্রযুক্তিকে মান্যতা দিয়ে তা আইনে পরিণত করা হোক। পিটার চকের মতে, একশো শতাংশ বিচ্ছিন্নতাবাদী তৈরি করা হয় সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। এমন অনেক সংগঠন রয়েছে যাদের সহজেই চরমপন্থীরা নিশানা করতে পারে। যদিও তিনি জানান যে এ ধরনের সন্ত্রাসী হুমকিতে তিনি সহজে ভেঙে পড়ার পাত্র নন।
মার্কিন বিশেষজ্ঞ জানান যে তিনি লক্ষ্য করেছেন যে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে শিখ সম্প্রদায়ের যুব সমাজকে নিশানা করা হচ্ছে এবং তারা গিয়ে পাকিস্তানের খলিস্তান–বিরোধী জঙ্গি সংগঠনে নাম লেখাচ্ছে। এই সংগঠনগুলি আমেরিকা, ব্রিটেন এবং কানাডায় খলিস্তানি জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণ করছে। পিটার বলেন, 'পাক অধিকৃত পাঞ্জাবের অস্থিরতার সঙ্গে কাশ্মীরের অশান্তিকে এক যোগসূত্রে বাধার প্রয়াস চালিয়ে চলেছে আইএসআই।’
তিনি জানিয়েছেন যে এ ধরনের সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতামূলক কাজকর্ম চালানো সংগঠনগুলিকে সনাক্ত করা হোক এবং তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থাও নেওয়া হোক। পিটার চক বলেন, 'কাশ্মীরের প্রতিবাদ ও হিংসাত্মক ঘটনাকে প্রচারের জন্য টুইটারকে ব্যবহার করা হচ্ছে। লস্কর সহ অন্যান্য জঙ্গি সংগঠন এই সুযোগকে হাতিয়াড় করে নিজেদের বিচ্ছিন্নতাবাদীর প্রচার চালাবে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং জানান, বর্তমানে জঙ্গি কার্যকলাপ সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে যাচ্ছে। সেখানে তারা সন্ত্রাসী আদর্শকে প্রচার করছে, যুব সম্প্রদায়কে প্রলোভিত করছে এবং তাদের মধ্যে ঘৃণা ভরে দিচ্ছে।
তৃণমূলে ভাঙনের ইঙ্গিত মমতাবালার অনুপস্থিতি! জ্যোতিপ্রিয়র বিস্ফোরক মন্তব্যে বাড়ছে জল্পনা