ইসলামাবাদে এইভাবেই ভারতীয় দূতাবাস থেকে আইএসআই-এর তথ্য হাতানোর চেষ্টা বানচাল
ইসলামাবাদে কর্মরত তিন ভারতীয় আধিকারিককে হানিট্রাপে ফেলার আইএসআই চেষ্টা ব্যর্থ। এ সপ্তাহের শুরুতেই এই ঘটনা ঘটে। আধিকারিকরাই এবিষয়ে তদন্তে সাহায্য করেছেন। তিন আধিকারিককেই দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
ইসলামাবাদে কর্মরত তিন ভারতীয় আধিকারিককে হানিট্রাপে ফেলার আইএসআই চেষ্টা ব্যর্থ। এ সপ্তাহের শুরুতেই এই ঘটনা ঘটে। আধিকারিকরাই এবিষয়ে তদন্তে সাহায্য করেছেন। তিন আধিকারিককেই দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: যদি যৌনতার লোভে গোয়ায় যান, তাহলে এই পরিচয়পত্র মাস্ট ]
[আরও পড়ুন: হায়দরাবাদে মধুচক্রের অভিযোগ, গ্রেফতার কলকাতার দুই অভিনেত্রী-সহ পাঁচ]
ইসলামাবাদে ভারতীয় হাইকমিশনারের অফিস থেকে তথ্য হাতানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হল পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। ভারতীয় গোয়েন্দারাই এই চক্রান্ত ব্যর্থ করে দেন। যে তিনজন আধিকারিককে ঘিরে হানিট্রাপ পেতেছিল পাকিস্তান, সেই আধিকারিকরাই তদন্তে সাহায্য করছেন বলে সূত্রের খবর। এই তিন আধিকারিকের নাম গোপন রাখা হয়েছে। এই তিন আধিকারিককে ফের পাকিস্তানে পাঠানোর সম্ভাবনা কম বলেই জানা গিয়েছে।
মহিলাদের দিয়ে কোনও শত্রু দেশের আধিকারিককে প্রলুদ্ধ করার বিষয়টি সারা পৃথিবীতেই চালু রয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানে থাকা কোনও আধিকারিককে প্রলুব্ধ করার বিষয়টি এর আগে খুব একটা শোনা যায়নি। সম্ভবত এক্ষেত্রেও আধিকারিকরা বিষয়টি অনুমান করতে পেরে ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাহায্য চান। সঙ্গে সঙ্গে ওই তিন আধিকারিককে দেশে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, ওই তিন আধিকারিক ইসলামাবাদে ভারতীয় হাইকমিশনের ভাষা বিভাগে কাজ করতেন। বিভিন্ন সরকারি নথি অনুবাদকের ভূমিকায় ছিলেন তাঁরা। সূত্রের খবর, মহিলাদের দিয়ে জুনিয়র এই অফিসারদের হোটেলে যাওয়ার জন্য একাধিকবার প্রস্তাব দেওয়া হয়। হোটেলে গেলেই মহিলাদের সঙ্গে তাঁদের ছবি তুলে ব্ল্যাকমেলিং করা হত।
এব্যাপারে পরবর্তী তদন্তে কী ভাবে এগনো হবে, তা ঠিক করবেন সরকারি পদস্থ কর্তারা। ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিও তদন্ত করে দেখছেন, সাম্প্রতিক কালে এই ট্রাপে কেউ পড়েছেন কিনা।
দীর্ঘদিন আগে পাকিস্তানে কর্মরত এক প্রাক্তন কর্তা জানিয়েছেন, টাকার থেকে মহিলার মাধ্যমে কোনও আধিকারিককে প্রলুব্ধ করা এক্ষেত্রে অনেকটাই সহজ।
২০১০ সালে এমনই এক ঘটনায় ভারতীয় হাইকমিশনের প্রেস ডিভিশনে কর্মরত সেকেন্ড সেক্রেটারি মাধুরী গুপ্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এক আইএসআই আধিকারিকের সঙ্গে সম্পর্কের জেরে আফগানিস্তানে চলা ভারতের উন্নয়নমূলক কাজ সম্পর্কে নথি তুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ওই মহিলা আধিকারিকের বিরুদ্ধে।