ছগন ভুজবল-নারায়ণ রানে, এমন কী 'ভাইপো'ও বিদ্রোহ করেছিলেন! ১৯৯১-র পরে এবারই কি শিবসেনার সব থেকে বড় ধাক্কা?
শিব সেনায় (Shiv Sena) আগেও বিদ্রোহ হয়েছে। কিন্তু এবার শিবসেনার মুখ্যমন্ত্রীর দাবিদার একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde) বিদ্রোহ আগের সব বিদ্রোহ থেকে আলাদা। বেশিরভাগ বিধায়ককে নিয়ে তিনি বিদ্রোহ করেছেন উদ্ধব ঠাকরের (Uddh
শিব সেনায় (Shiv Sena) আগেও বিদ্রোহ হয়েছে। কিন্তু এবার শিবসেনার মুখ্যমন্ত্রীর দাবিদার একনাথ শিন্ডের (Eknath Shinde) বিদ্রোহ আগের সব বিদ্রোহ থেকে আলাদা। বেশিরভাগ বিধায়ককে নিয়ে তিনি বিদ্রোহ করেছেন উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) বিরুদ্ধে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এবার আড়াআড়ি বিভাজনের পথে যাচ্ছে শিবসেনা?
মহারাষ্ট্রের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি
মহারাষ্ট্রে বর্তমানে ক্ষমতায় রয়েছে মহা বিকাশ আঘাধি। শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোটের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। ২০১৯-এর নির্বাচনে বিজেপিকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই করেও মুখ্যমন্ত্রিত্বের প্রশ্নে আলাদা হয়ে যায় শিবসেনা। বর্তমানে ২৮৮ আসন বিশিষ্ট বিধানসভায় সরকারের সমর্থনে ১৫২ জন বিধায়ক রয়েছেন। এঁদের মধ্যে শিবসেনার ৫৫, এনসিপির ৫৩ এবং কংগ্রেসের ৪৪ জন সদস্য রয়েছেন। এছাড়াও কয়েকটি ছোট দল এবং নির্দল বিধায়করাও সমর্থন করেছে।
৪০-এর বেশি বিধায়কের সমর্থন দাবি শিন্ডের
নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করা একনাথ শিন্ডে দাবি করেছেন, শিবসেনার ৪০-এর বেশি বিধায়কের সমর্থন তাঁর দিকে রয়েছে। যদি শেষ পর্যন্ত একনাথের দাবি সত্যি হয়, তাহলে মহারাষ্ট্রে সরকারের পতল নিশ্চিত। তবে সেক্ষেত্রে উদ্ধব ঠাকরে আগে পদত্যাগ করেন নাকি এখন সেটাই দেখার। তবে ৫৫ জন বিধায়কের মধ্যে থেকে যদি ৪০ জন চলে যায়, তাহলে শিবসেনার চাবিকাঠি উদ্ধব ঠাকরের হাতে থাকবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। কেননা দলত্যাগ বিরোধী আইন অনুসারে ৫৫ জন সদস্যের মধ্যএ দুই তৃতীয়াংশ হল ৩৭ জন। ফলে এই সংখ্যার থেকে ৪০ কিংবা তার বেশি সংখ্যক বিধায়কের সমর্থন যদি একনাথ শিন্ডের দিকে থাকে, তাহলে একনাথ বিজেপির সঙ্গে জুড়ে যেতে পারবেন কিংবা নতুন দল তৈরি করতও তার অসুবিধা হবে না।
১৯৯১ থেকে চ্যালেঞ্জের শুরু
বাল ঠাকরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন তাঁরই ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছগন ভুজবল। ১৯৯১-এর ডিসেম্বরে তিনি ৫২ জন বিধায়কের মধ্যে থেকে ১৭ জনকে নিয়ে দল ভাঙার হুমকি গিয়েছিলেন। তৎকালন সময়ে মনোহর যোশীর প্রতিপত্তি তাঁর পছন্দ হয়নি। তৎাকীলন বিধানসভার অধ্যক্ষ মধুকর রাও চৌধুরীকে দল ছাড়ার কথা জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন ছগন ভুজবল। বাল ঠাকরে সঙ্গে সঙ্গে ছগন ভুজবলকে বরখাস্ত করেন। সেই সময় ভুলবল কংগ্রেসে যোগ দেন।
২০০৫-এ রানে-উদ্ধব লড়াই
শিবসেনার সামনে দ্বিতীয় বড় চ্যালেঞ্জ আসে ২০০৫ সালে। সেই সময় নারায়ণ রানে উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। ঠাকরের জন্য তিনি রাজনৈতিকভাবে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন, মনে করায় ৬২ জনের মধ্যে ৪০ জন বিধায়ককে নিয়ে দল ভাঙতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নারায়ণ রানের চেষ্টা বিফলে যায়। ১২ জন বিধায়ককে নিয়ে রানে কংগ্রেসে যোগ দেন। তৎকালীন সময়ে কংগ্রেস-এনসিপির বিলাস রাও দেশমুখ সরকারে রানেকে মন্ত্রীও করা হয়।
বিদ্রোহ করেছিলেন বাল ঠাকরে ভাইপোও
২০০৫ সালেই শিবসেনায় অপর একটি বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে। নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্বে উদ্ধবকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, বাল ঠাকরের ভাইপো রাজ ঠাকরে। ২০০৫ সালে রাজ শিবসেনা ছাড়েন। তবে তিনি শিবসেনায় সেভাবে বিভাজন তৈরি করতে পারেননি।
ফের বিদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী! যোগ দেবেন জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে, যাবেন সংযুক্ত আরব আমীরশাহিতেও