বিহার ভোটের প্রাক্কালে বিজেপির বি-টিম হিসাবে কাজ করাতেই সংখ্যালঘুদের ভরসা হারাচ্ছে জেডিইউ?
বিহার ভোটের প্রাক্কালে বিজেপির বি-টিম হিসাবে কাজ করাতেই সংখ্যালঘুদের ভরসা হারাচ্ছে জেডিইউ?
মুসলিম ও দলিত ভোটের কথা মাথায় রেখে বিহারে ইতিমধ্যেই তৃতীয় ফ্রন্ট তৈরি করে ফেলেছে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির এআইএমআইএম এবং মায়াবতীর বিএসপি। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা এর ফলে আরজেডি-কংগ্রেসের বিরোধী মহাজোটের পাশাপাশি খানিক বেকায়দায় পড়বেন নীতীশ কুমারও। অন্যদিকে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন প্রাক্কালে বিরোধী শিবিরের মধ্যে মুসলিম ভোট ভাগাভাগিতে বিহারের রাজনৈতিক ময়দানে খানিকটা হলেও বাড়তি সুবিধা পেতে চলেছে বিজেপি।
সংখ্যালঘুদের ভরসা হারাচ্ছে নীতীশের দল, বদলাচ্ছে রাজনৈতিক সমীকরণ
এদিকে ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচন, ২০১০ সালের বিধানসভা, ২০১৪ সালের লোকসভা, ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে বড়সড় রাজনৈতিক পরিবর্তনের সাক্ষী থেকে বিহারবাসী। ২০০৯ সালে বর্তমানে বিজেপির বি-টিম জেডিইউ-র উপর বিহারের সংখ্যালঘুরা আস্থা রাখলেও তারপর গঙ্গা দিয়ে বয়ে গেছে অনেক জল। এমনকী ২০১৫ সালের আরজেডি-জেডিইউ-কংগ্রেসের সেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কও আর নেই।
বিহারের মোট জনসংখ্যার ১৭ শতাংশই মুসলিম ভোটার
এদিকে বিহারের মোট জনসংখ্যার ১৭ শতাংশই মুসলিম। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে ২০১৫ সালে লালুপ্রসাদের আরজেডি ও কংগ্রেসের সমর্থনে সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কের একটা বড় অংশের ভোট নীতীশ শিবিরে এলেও ২০১৭ সালে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোর পর সেই হিসাবে অনেকটাই রদবদল এসেছে। নীতীশের উপর থেকে ভরসা হারিয়েছেন রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোটারদের একটা বড় অংশ।
২০০৯-র লোকসভা ও ২০১০-র বিধানসভাতেও সংখ্যালঘু ভোটব্যঙ্ক ধরে রাখেন নীতীশ
অন্যদিকে ২০০৯ সালে বিহারের রাজনৈতিক মঞ্চে এনডিএ-র প্রত্যাবর্তনের পিছনে নীতীশ ক্যারিশমা একটা বড়সড় ছাপও ফেলে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। সেই সময় জেডিইউ-বিপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট বিহারের ৪২ টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৩২টিতেই জয়লাভ করে। এমনকী তার পরের বছর ২০১০ সালের বিধানসভা ভোটে ২৪৩টি আসনের মধ্যে ২০৬টি আসনে বিরোধীদের দুরমুষ করতে সমর্থ হন নীতীশ কুমার। যদিও সেই ক্ষেত্রেও জেডিইউ-র প্রতি সংখ্যালঘুদের সমর্থন একটা বড় ভূমিকা নেয় বলে জানা যায়।
১০ আসনে মুসলিম প্রার্থী দিয়ে বাজিমাত করতে চাইছে জেডিইউ
এদিকে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জেডিইউ-র খাতায় থাকা ১১৫টি আসনের মধ্যে ১০টি আসনই প্রধানত মুসলিম অধ্যুষিত। বর্তমানে এই কেন্দ্রগুলিতে গত ১৫ বছরে সংখ্যালঘু উন্নয়নে জেডিইউ সরকারের একাধিক পদক্ষেপকে সামনে রেখেই ভোট প্রচারে নেমেছে নীতীশের দল। স্বভাবতই এই দশটি আসনেই জেডিইউ-র তরফে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নামনো হয়েছে মুসলিম প্রার্থীদেরই। এই আসন গুলির মধ্যে সিকতা কেন্দ্র থেকে জেডিইউ-র টিকিটে লড়ছেন ফিরোজ আহমেদ খুরশীদ। এছাড়াও বাকী কেন্দ্র ও প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছে শেওহর (সরফুদ্দিন), আরারিয়া (শাগুফতা আজিম), ঠাকুরগঞ্জ (নওশাদ আলম), কোচাধামান (মোহাম্মদ মুজাহিদ), আমুর (সাবা জাফর), দরভাঙ্গা পল্লী (ফরাজ ফাতমি), কান্তি (মোহাম্মদ জামাল), মারহৌরা (আলতাফ রাজু), এবং মহুয়া (আসমা পারবীন)।
কৃষি আইন নিয়ে কৃষকদের অভয় প্রদান মোদীর, নূন্যতম সহায়ক মূল্য নিয়ে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী