হায়দরাবাদ পুলিসের এনকউন্টার কী পরিকল্পিত? রিপোর্ট ঘিরে জল্পনা শুরু
রাতের অন্ধকারে ঘটনার পুনর্নির্মান। পুলিসের হাত থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা চার ধর্ষকের। পুরোটাই সিনেমার কাহিনীর মতোই শোনাচ্ছিল।
রাতের অন্ধকারে ঘটনার পুনর্নির্মান। পুলিসের হাত থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা চার ধর্ষকের। পুরোটাই সিনেমার কাহিনীর মতোই শোনাচ্ছিল। কিন্তু সেসময় যে প্রতিশোধ স্পৃহা গোটা দেশ জুড়ে জেগে উঠেছিল সেসব সন্দেহের দিকে কেউ মাথা ঘামাননি। উল্টে হায়দরাবাদ পুলিসকে সাধুবাদ জানাতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন অধিকাংশ মানুষ। হুঁশ ফিরল ২ দিন পরে। অনেকেই এখন মনে করতে শুরু করেছেন হায়দরাবাদের এই এনকাউন্টার পুরোটাই ছিল পরিকল্পিত। রিপোর্ট ঘিরে সেই জল্পনাই উঠে আসছে।
সূত্রের খবর ৩০ নভেম্বর হায়দরাবাদ পুলিসের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাওয়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। পুলিসের সাংবাদিক বৈঠকের কিছু আগেই হয়েছিল এই বৈঠক। সেখানে ধর্ষকদের সাজা দেওয়ার বিষয়ে অন্য কোনও রাস্তার সন্ধান করা হচ্ছিল। গ্রেফতারের থেকে বড় কিছু করার পরিকল্পনা চলছিল গোপনে। যে পদক্ষেপ মানুষের ক্ষোভের আগুনকে কিছুটা হলেও কম করবে। এবং তেলঙ্গানার এই ধরনের অপরাধের নজির বিহীন সাজা হয়ে থাকবে।
শুক্রবার মাঝ রাতেই সেকারণেই ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য ধৃত চার অভিযুক্তকে নিয়েগিয়েছিল পুলিস। পরের দিন ভোর হতেই খবর ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশে। তোলপাড় হতে থাকে গোটা দেশ। হায়দরাবাদ পুলিসের কাজের প্রশংসা শুরু হয়ে যায়। কিন্তু এতে সাধারণ মানুষের বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা হারাবে বলে অনেকেই দাবি করেছেন। সেকারণেই পুলিসের পক্ষ থেকে জানানো হয় চারটি দেহের ময়নাতদন্তের ভিডিও গ্রাফি করা হবে এবং তেলঙ্গানা হাইকোর্টল চার অভিযুক্ত ধর্ষকের দেহ সংরক্ষণ করে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
এই ঘটনার নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি এসএ ববদেও। শনিবার যোধপুরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বলেন হায়দরাবাদের এই ঘটনা বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা হারাবে মানুষ। ৯ ডিসেম্বররাত আটটা পর্যন্ত দেহগুলি সংরক্ষণ করে রাখার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।