
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন: শরদ পাওয়ার কি সর্বসম্মত বিরোধী প্রার্থী? তৃণমূলের পদক্ষেপ নিয়ে জল্পনা
কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী দলের রাজ্যসভার নেতা মল্লিকার্জুন খারগেকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন শরদ পাওয়ার-সহ অন্য বিরোধী নেতাদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রার্থী নিয়ে কথা বলতে। তারপরেই সোনিয়া গান্ধী হাসপাতালে ভর্তি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের বেশ কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রী এবং বিরোধী নেতাকে চিঠি দিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের
আলোচনায় আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রার্থী হতে পারে শরদ পাওয়ার
যদি বিভিন্ন দলের তরফে শরদ পাওয়ারকে অনুরোধ করা হয়, তাহলে তিনি সর্বসম্মত বিরোধী প্রার্থী হতে পারেন। প্রকাশ্যে তিনি প্রার্থী না হওয়ার কথা বললেও, তিনি এব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্তনেননি বলেই সূত্রের খবর। তবে পুরো বিষয়টি বুধবার পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বৈঠকে আমন্ত্রিত সব বিরোধী নেতা যোগ দেন এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে পরিকল্পনায়অংশগ্রহণ করেন।

শরদ পাওয়ারকে নিয়ে তৎপরতা
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রার্থী ঠিক করতে বিরোধী নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোর পরের দিন অর্থাৎ রবিবার আম আদমি পার্টির নেতা সঞ্জয় সিং মুম্বইয়ে পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করেন।তবে তার আগে নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরেই কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী শরদ পাওয়ারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। এছাড়াও তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন পশ্চিমবঙ্গেরমুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। সোনিয়া গান্ধী পাওয়ারের সঙ্গে কথা বলার পরেই কংগ্রেসের তরফে মল্লিকার্জুন খারগেকে অন্য বিরোধী দলের সঙ্গে কথা বলারজন্য নিযুক্ত করেন। খারগে মুম্বইয়ে গিয়ে শরদ পাওয়ারের সঙ্গে কথাও বলেন।

তৃণমূলের পছন্দ
সূত্রের খবর অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের শাসক তৃণমূল তাদের পছন্দ সম্পর্কে জানিয়েছে। রাজনৈতির ব্যক্তি যাঁর সঙ্গে বিরোধীদের সম্পর্ক রয়েছে, তবে তিনি কোনওভাবেই কংগ্রেসের নেতৃত্বে থাকা ইউপিএ-রঅংশ কোনও দিনই ছিলেন না, তেমন ব্যক্তিকেই পছন্দ পশ্চিমবঙ্গের শাসকের। তবে সেইরকম নাম কিছু তারা এখনও প্রকাশ্যে আনেনি।তৃণমূলের বর্ণনার সঙ্গে নাকি শরদ পাওয়ার অনেকাংশেই মিলে যাচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির কে চন্দ্রশেখর রাও, ওড়িশার বিজেপির নবীন পট্টনায়েকের ভাল যোগাযোগ রয়েছে।এক বিরোধী নেতা বলছেন, এখানে জেতা কিংবা হারার কথা নয়, সব থেকে বড় কথা প্রার্থী দাঁড় করানো। যেখানে আপ এবং টিআরএস কংগ্রেসের প্রার্থীকে সমর্থন করবে না। কিন্তু যদি পাওয়ার হন, তাহলেতারা সমর্থন দিতে পারেন।

বিভক্ত বিরোধী শিবির
তবে ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে বিরোধী শিবিরে বিভাজন তৈরি হয়েছে। বিষয়টিতে কে নেতৃত্ব দেবেন তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৫ জুনের বৈঠকের ঘোষণা করতেই সিপিএম
সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদক্ষেপ বিরোধী জোটের পক্ষে ক্ষতিকারক। কংগ্রেসও বিষয়টি নিয়ে সতর্ক। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেছেন, অন্যদেরসঙ্গে নিয়ে তারা এগিয়ে যাবেন।
দ্বিতীয় দিনে ইডির দফতরে হাজিরা রাহুল গান্ধীর, বিক্ষোভের জেরে গ্রেফতার সুরজেওয়ালা