Joshimath: যোশী মঠে বিপর্যয়ে ISRO কি ইউটার্ন নিতে চলেছে? ওয়েবসাইট থেকে রিপোর্ট 'উধাও'য়ে জল্পনা
ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার, হায়দরাবাদের একটি প্রতিবেদনে ছবি-সহ সম্প্রতি বলা হয়েছিল যোশীমঠ দ্রুচ তলিয়ে যাচ্ছে। যোশীমঠের পুরো এলাকা কিছু দিনের মধ্যে ধ্বংস হয়ে যাবে। তবে সেই রি
ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার, হায়দরাবাদের একটি প্রতিবেদনে ছবি-সহ সম্প্রতি বলা হয়েছিল যোশীমঠ দ্রুচ তলিয়ে যাচ্ছে। যোশীমঠের পুরো এলাকা কিছু দিনের মধ্যে ধ্বংস হয়ে যাবে।
তবে সেই রিপোর্ট রহস্যজনকভাবে ওয়েবসাইট থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে। রিপোর্টটি কি প্রত্যাহার করা হয়েছে, নাকি অন্য কিছু, সে ব্যাপারে এখনও সরকারিভাবে এখনও কোনও কথা জানানো হয়নি।
ইসরোর রিপোর্টে কী ছিল
ইসরোর ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টারের রিপোর্টে স্যাটেলাইটের ছবি প্রকাশ করে বলা হয়েছিল যোশীমঠ শহর তলিয়ে যাবে। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, সেখানে বলা হয়েছিল, কয়েকদন ধরে যোশী মঠে ভূমি ধস ও ফাটলের খবর পাওয়া যাচ্ছে। ইসরোর তরফে বলা হয়েছিল ২০২২-এর এপ্রিল থেকে নভেম্বর জমির তলিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তুলনায় বেশ কিছুটা ধীরে হয়েছে। এই সাত মাসে প্রায় নয় সেমির মতো বসে গিয়েছিল যোশী মঠ। কিন্তু ২০২২-এর ২৭ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারি ২০২৩, এই ১২ দিনে জমি তলিয়ে গিয়েছে ৫.৪ সেমি। তা আরও দ্রুত গতিতে বাড়ছে বলেও রিপোর্টে বলা হয়েছে। ইসরোর তরফে সেখানে একটি বসে যাওয়া অংশ বলে চিহ্নিত করা হয়। যা যোশীমঠছ-আউলি সড়কের পাশে ভূপৃষ্ঠ থেকে ২১৮০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত।
ওয়েবসাইট থেকে উধাও খবর
তবে এখন উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার এই শহর সম্পর্কে রিপোর্ট আর ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টারের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাচ্ছে না। রিপোর্টের যে পিডিএফ লিঙ্ক ছিল, তা আর কাজ করছে না। পরিষ্কার করে বলতে গেলে সেই রিপোর্ট সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে। তবে এব্যাপারে ইসরোর তরফে আনুষ্ঠানিক কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
শহরের নিকাশি ব্যবস্থারও ছবি ছিল
ইসসোর প্রকাশ করা ছবিতে শহরের নিকাশি ব্যবস্থার বেশ কিছু ছবি ছিল। সেই ছবিতে লাল ডোরাকাটা রাস্তার পশে নীল দিয়ে ছিল শহরের নিকাশি ব্যবস্থার চিত্র। সেখানে বলা হয়েছিল এটি প্রাকৃতিকও হতে পারে আবার মানুষও তৈরি করতে পারে। সেখান থেকে বেরনো জল নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করে বলেছিলেন, ঢালের শক্তি বজায় রাখতে হবে এবং সেখানকার ছিদ্রের চাপ অর্থাৎ বেরনো জলের চাপ কমাতে হবে।
সবচেয়ে ক্ষতি যোশীমঠের কেন্দ্রীয় অংশের
ইসরোর দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যোশী মঠের কেন্দ্রীয় অংশের। যোশীমঠ-আউলি সড়কের ওপরে যার অবস্থান। এর ফলে আউলির রাস্তার অবস্থাও খারাপ। অলকানন্দা নদীর ওপরে যোশীমঠের যে অংশ হয়েছে, তাও খুব তাড়াতাড়ি বসে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় ইসরোর প্রাথমিক রিপোর্টে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইসরোর রিপোর্ট নিয়ে গবেষণা চলছে।
চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন যোশীমঠ
বদ্রীনাথ ও হেমকুণ্ড সাহিবের মতো বিখ্যাত তীর্থস্থানের প্রবেশদ্বার হল যোশী মঠ। জমি বসে যাওয়ার কারণে যা ইতিমধ্যে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। কমেছে পর্যটকদের সংখ্যা। তবে সরকারের তরফে ছয়মাসের জল ও বিদ্যুতের বিল মকুব-সহ ব্যাঙ্ক ঋণ পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে ১ বছরের ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্যরা শহরের বাসিন্দাদের সাহায্য করতে, তাঁদের একমাসের বেতন মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বিয়ের পরে অধিকার! কন্যা ও বোনেদের পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বড় মন্তব্য হাইকোর্টের