হাইকমান্ডই শেষ কথা, দলে বিদ্রোহ রুখতেই কী রাজস্থান-পাঞ্জাবে পদক্ষেপ কংগ্রেসের?
হাইকমান্ডই শেষ কথা, দলে বিদ্রোহ রুখতেই কী রাজস্থান-পাঞ্জাবে পদক্ষেপ কংগ্রেসের?
২০২৩-এ বিধানসভা ভোট রাজস্থানে। তার পরের বছরেই আবার লোকসভা ভোট। কাজেই এখন থেকেই দলে শৃঙ্খলা ফেরাতে মরিয়া কংগ্রেস। পাঞ্জাবে কংগ্রেসের অন্দরে প্রবল অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। একই পরিস্থিতি রাজস্থানেও। পাঞ্জাবে অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে নভজ্যোত সিং সিধুর সংঘাত চরমে উঠেছিল। তারপরেই সিধুকে দায়িত্ব দিয়ে এক প্রকার পাঞ্জাবে অমরিন্দর ক্যাম্পের বিরোধের অবসান ঘটিয়েছে কংগ্রেস। একেবারে নতুন করে পাঞ্জাবে মন্ত্রিসভা সাজিয়েছে কংগ্রেস। কোনও একজন নেতার উপরে যে দল নির্ভর করে না সেই বার্তা পাঞ্জাবে দিয়েছে হাইকমান্ড।
রাজস্থানে হঠাৎ করে মন্ত্রিসভার রদবদলেও সেই একই বার্তা রয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বছর দুয়েক আগে সচিন পাইলটের সঙ্গে অশোক গেহলটের বিরোধ চরমে উঠেছিল। বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন সচিন পাইলক। তার কয়েক দিন আগেই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তারপরেই সচিন পাইলটের এই নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। যদিও বিজেপিতে যোগ দেননি সচিন পাইলট। এই সুযোগে সরকার ফেলার প্রবল চেষ্টা চালিয়েছে বিজেপি। শেষ পর্যন্ত সেটা করে উঠতে পারেনি।
সচিন পাইলট অশোক গেহলটের মন্ত্রিসভায় ফিরলেও বিরোধ রয়েই গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত মন্ত্রিসভায় রদবদল ঘটিয়ে হাইকাম্ড এক প্রকার বার্তা দিয়েছে সচিন পাইলট এবং অশোক গেহলটের। অশোক গেহলটের নতুন মন্ত্রিসভায় শপথ নিয়েছেন ১৫ জন মন্ত্রী। তাঁদের দফতর বণ্টনও হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর সচিন অনুগামী অনেক নেতাই ঠাই করে নিয়েছে অশোক গেহলটের মন্ত্রিসভায়। তাতেই মনে করা হচ্ছে যাতে কোনও ভাবেই সনিচ পাইলটকে কোণঠাসা করতে না পারেন অশোক গেহলট সেকারণেই মন্ত্রিসভার রদবদল ঘটিয়ে বার্তা দিয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ড।
অনেকেই এর মধ্যে দাবি করতে শুরু করেছে সচিন পাইলটকে সামনে রেখে এগোচ্ছে কংগ্রেস। সচিন পাইলটকেই ২০২৩ সালে রাজস্থান বিধানসভা ভোটের মুখ করতে চাইছে কংগ্রেস। যদিও সাংবাদিক বৈঠক করে সচিন পাইলট সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন দলের অন্দরে কোনও ভেদাভেদ নেই। কোনও গ্রুপবাজি নেই। পুরোটাই দলের স্বার্থে এবং রাজস্থানের উন্নয়নের স্বার্থে করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটও তাই দাবি করেছেন।